সম্পত্তি ও ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ঢাকার পল্লবীতে পনের বছর আগে সংঘটিত মনসুর মল্লিক হত্যা মামলার রায় আবারো পিছিয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন রায় প্রস্তুত করা যায়নি উল্লেখ করে ষষ্ঠবারের মতো পিছিয়ে ১৯ জুলাই তারিখ ঠিক করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি শওকত আলম বলেন, মামলার চাপের কারণে আদালত যুক্তিতর্ক শুনানি নিয়েও রায় লেখা শেষ করতে পারেনি। সে কারণে বার বার রায় পিছিয়ে যাচ্ছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, পল্লবীর ডি ব্লকের প্যারিস রোডে মীম ডেইরি ফার্মের মালিক প্রাইভেট কারে ২০০৭ সালের ১২ মে রাত ১০টার দিকে ওই গরুর খামারে আসেন। এ সময় দুষ্কৃতকারীরা মনসুরকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
মনসুরের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ও আত্মীয়-স্বজনরা তাৎক্ষণিক খামারে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওই বছরেরই ২০ আগস্ট পল্লবী থানার এসআই আসলাম হোসেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আাদালতে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
আসামিদের মধ্যে আব্দুল করিম, আব্দুল গনি মাতবর, জহিরুল হাসান জহির ও আব্দুর রহিম চঞ্চল দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। অন্যদের মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন ও বাবু আদালতে বিচারের সন্মুখীন হচ্ছেন। ইতোমধ্যে দুই আসামি মারা গেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, করিম ও মোফাজ্জলের সঙ্গে মনসুরের ব্যবসা ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিরোধ ছিল। আর আব্দুল গনি মাতবরের সঙ্গে মনসুরের জমির প্লট নিয়ে বিরোধ ছিল। এই শত্রুতার জের ধরে মনসুরকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।