হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ এনে একটি রিটের শুনানি শেষে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বুরহান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এএমজি সারোয়ার পায়েল।
বুরহান খান নিউজবাংলাকে বলেন, নির্বাচনের সময় হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে কালিহাতীর একটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে এই রুল জারি করে।
রুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সোহেল হাজারীসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহেল হাজারী নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। হজ নিয়ে করা একটি মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি মন্ত্রিত্ব হারানোর পর সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিলে সোহেল হাজারীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল হাজারী।
মনোনয়নপত্রের সময় যে হলফনামা জমা দিতে হয়, তাতে সোহেল হাজারী তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সঠিক তথ্য দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করে কোনো প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ক্ষমতাসীন দলেরই নেতা মোখলেছুর রহমান।
২০২১ সালের ১৭ মে একবার উত্থাপিত হয়নি মর্মে এই রিট খারিজ হয়ে যায়।