জাতীয় তেলের পাইপলাইনের কাজের জন্য খনন করা গর্তে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় দেড়কোটা গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম ইসমাইল হোসেন নাঈম। তার বয়স ৮ বছর।
শিশু নাঈম উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের দেড়কোটা গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম খোকন ভূঁইয়া।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে খেলার সময় নাঈম বাড়ির পাশে জাতীয় তেলের পাইপলাইনের কাজের জন্য খনন করা গর্তে পড়ে যায়। পড়ে ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার মা সেখানে গিয়ে গর্তের পানিতে হাবুডুবু খেতে দেখতে পান।
পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় নাঈমকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত শিশুর পরিবার এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে শিশু নাঈমের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পাইপলাইন স্থাপন কাজের ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে। তারা প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজ মজুমদার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসীর ভয়ে পাইপলাইনে কর্মরত শ্রমিকরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন বলেন, ‘মুন্সীরহাটের দেড়কোটায় জাতীয় তেলের পাইপলাইনের গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যুর খবর শুনেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করব। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জাতীয় তেল লাইনের কুমিল্লা অঞ্চলের প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি এইমাত্র জানলাম। নিয়ম অনুযায়ী পাইপ লাইনের কাজ শুরুর আগে এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির বিধান রয়েছে। পাইপলাইনের পাশে যদি গর্ত করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গর্তগুলো ভরাট করে দেবে। এতে কারও দায়িত্ব অবহেলার ঘটনা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’