বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

  •    
  • ৩১ মে, ২০২২ ১৯:৪৪

অমিয় বালা বলেন, ‘স্বামী মরার পর আবুল কালাম নামের এক প্রতিবেশী মোর জমিতে ভাড়া দেবে কইয়া একটা ঘর উডাইয়া থাহা শুরু হরছে। পরে কালাম মরার পর হুনি মোর জমি বোলে কালামের বউ লিপির নামে দলিল হরছে। মুই কোডে মামলা দিছি। এহন হুনি লিপি অর্ধেক জমি তার ভাইর বউ সোনালীর কাছে বিক্রি হরছে।’

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় সংখ্যালঘু একটি পরিবারের ১২ শতাংশ জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় লিপি আক্তারের বিরুদ্ধে।

তবে লিপি আক্তারের দাবি দলিলমূলে জমির মালিক হয়েছেন তিনি।

নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করতে চলতি সপ্তাহে দুজনই পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।

ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব এবং টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সভাকক্ষে গত ২৯ মে সম্মেলন করেছেন অমিয় বালা নামের এক নারী। তার দাবির বিপরীতে লিপি বেগম মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অমিয় বালা বলেন, রাজাপুর টিঅ্যান্ডটি সড়কে আশির দশক থেকে বাস করতেন তার স্বামী নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া তার ১২ শতাংশ বসতভিটা ৩৮ বছর আগে তার (অমিয়) নামে দানপত্র দলিল করে দেয়। রাজাপুরের এস,এ ১১৩৬ নম্বর খতিয়ানভুক্ত এস,এ ৪৯৫১নং দাগের ১২ শতাংশ জমিটি ১৯৮৪ সনের ৫ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। যার দলিল নম্বর ৩৪৫৭।

২০০৯ সালে স্বামী নিমাই চন্দ্রের মৃত্যুর পর থেকে আজ পর্যন্ত রিকশাচালক ছেলে অনিমেষ মিস্ত্রী ও ছেলের বউ জয়ন্তী বড়ালকে নিয়ে সেই ভিটায় বসবাস করছেন।

অমিয় বালা বলেন, ‘স্বামী মরার পর আবুল কালাম নামের এক প্রতিবেশী মোর জমিতে ভাড়া দেবে কইয়া একটা ঘর উডাইয়া থাহা শুরু হরছে। পরে কালাম মরার পর হুনি মোর জমি বোলে কালামের বউ লিপির নামে দলিল হরছে। মুই কোডে মামলা দিছি। এহন হুনি লিপি অর্ধেক জমি তার ভাইর বউ সোনালীর কাছে বিক্রি হরছে।’

নিজের অবস্থান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে লিপি আক্তার জানান, অমিয় বালার কাছ থেকে তার (লিপি) স্বামী আবুল কালাম ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ছয় শতাংশ জমি কিনেছেন। তার স্বামী ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর দুই বছর আগে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট ওই ছয় শতাংশ জমির দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে আবুল কালাম তার স্ত্রী লিপির নামে হস্তান্তর করেছেন।

তিনি সেই জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করতে গেলে অমিয় বালা তার কাজে বাধা দেন। একই সময়ে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে তার নির্মাণকাজের ওপর ১৪৪ ধারা জারি করানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লিপি আক্তার। ছবি: নিউজবাংলা

লিপি আক্তার বলেন, ‘তার ভাই মনিরুজ্জামান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হওয়ায়, মনিরের রাজনৈতিক মাঠে দুর্নাম রটানোর উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা অমিয় বালাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন মিডিয়ায় অসত্য সংবাদ প্রচার করেছে।

‘আমি এবং আমার ভাই মনিরের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সোনালি দুজনে অমিয় বালার কাছ থেকে দুই কাঠা জমি পৃথক সময়ে ক্রয় করেছি। আমাদের রেকর্ড সম্পন্ন হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমার রাজনীতির ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমার বোন এবং স্ত্রী অমিয় বালার কাছ থেকে জমি সঠিক নিয়মেই ক্রয় করেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর