ইভিএমে নিজের পক্ষে ভোট নিতে গোপন বুথে কর্মী রাখার বিষয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বক্তব্যের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তার সত্যতা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গোপন বুথে অবৈধভাবে অবস্থান করে ভোটারদের নির্দিষ্ট বাটনে টিপ দিতে বাধ্য করার যে অভিযোগ আছে, তাদেরকে ডাকাত উল্লেখ করে একজন নির্বাচন কমিশনার বক্তব্য রাখার পর এই নির্দেশ এসেছে।
মঙ্গলবার কমিশনের যুগ্মসচিব জনসংযোগ পরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর ভোট নিয়ে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত ঘটনা, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে। বুধবারের মধ্যে এই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
আগামী ১৫ জুন এই ইউনিয়নে ভোট হবে। একই দিনে কুমিল্লা সিটি ভোটসহ দেশের আরও ১৩৫ ইউনিয়ন, ৬ পৌরসভা ও এক উপজেলায় ভোট হবে। সবগুলো জায়গায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।
নৌকার প্রার্থী মজিবুল এক সমাবেশে নিজের কর্মীদের বলেন, ব্যালটে ভোট হলে তিনি সহজেই সব ভোট দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু যেহেতু ইভিএমে ভোট হবে, তাই তার অন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তো এখানে ইভিএম একটা করেছে সরকার। তো কী করতাম। একটু কষ্ট করে গিয়ে আঙুলে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। চাপ দিতে না পারলে চাপ দেয়ার জন্য সেখানে আমি মানুষ রাখব। তো আমাকে একটু দোয়া করবেন সকলে।
‘রিকশা করে পারেন, যেভাবে পারেন ভোটটা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। কারণ, ইভিএমের ভোট। ইভিএম না হলে আমি কাউকে খুঁজতাম না, ভোট আমি মেরে দিতাম। যেভাবে পারি ভোটটা মেরে দিতাম।
‘ইভিএমে আইডি কার্ড ঢুকিয়ে দিতে হয়, নইলে হয় না। এটা না হলে আমি রাতেই নিয়ে ফেলতাম। তো আপনারা একটু কষ্ট করেন, আপনাদের একটু কষ্ট করে ওটা নিয়ে যেতে হবে। গিয়ে মেশিনে ফিঙ্গার দিতে হবে। কথা বোঝেননি?’