আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সবকিছুর একটা শেষ আছে। বাড়াবাড়ি ভালো নয়। মির্জা ফখরুলকে বলে দিচ্ছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে পরিণতি হবে ভয়াবহ।’
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের এক যৌথ সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কি বসে বসে তামাক খাবে?’
সম্প্রতি বিএনপির একটি সমাবেশ থেকে ১৯৭৫ সালের হাতিয়ার আবার গর্জে ওঠার কথা বলা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এই বক্তব্য রাখেন কাদের।
সরকার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে দলটির এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাধার কোনো বিষয় নয়, আমার সামনে নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) বলছেন, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই কথা শুনলে তরুণদের কি মাথা ঠিক থাকে। সন্ত্রাসীদের কি বাধা দেব না?
‘ফখরুল সাহেবরা এসব স্লোগান শিখিয়ে দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে ছাত্রলীগ কি চুপ করে বসে থাকবে?’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেবেন আমাদের সামনে। আওয়ামী লীগ কি মরে গেছে? আমরা কি রাজপথ কাউকে ইজারা দিয়েছি? আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথেই আছে।’
ছাত্রদল দিয়ে বিএনপি আন্দোলন শুরু করবে দলটির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, 'আমরাও দেখব কত ধানে, কত চাল।'
আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাস করলে জবাব রাজপথেই দেয়া হবে বলেও জানান কাদের। বলেন, সেই জন্য আপনাদের প্রস্তুত হতে নেত্রীর নির্দেশে এই সভা ডেকেছি।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় সেতু ও আশপাশের এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। দেশের সবচেয়ে বড় সেতুটি উদ্বোধন ২৪ ও ২৫ জুন সারা দেশেই নানা আয়োজন থাকবে বলেও জানান তিনি।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন তারিখ ঘোষণায় বিএনপির বিষ জ্বালা উপচে পড়ছে বলে মন্তব্য করেন কাদের৷ বলেন, বিএনপি ছাত্রদলকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করেছে। ক্যাম্পাসে কিছু ঘটনা তারা ঘটিয়েছে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, মৃণাল কান্তি দাস, ওয়াসিকা আয়েশা খান, দেলোয়ার হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।