বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: জামায়াত নেতাসহ নওগাঁর ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ৩১ মে, ২০২২ ১১:২৬

মঙ্গলবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করে। 

একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সাবেক আমির রেজাউল করিম মন্টুসহ নওগাঁর তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামসহ তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামি হলেন নওগাঁর রেজাউল করিম মন্টু, নজরুল ইসলাম ও শহিদ মণ্ডল। তাদের বয়স ৬২ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম পলাতক।

২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর মামলার তদন্ত শুরু হয়। এক বছর ধরে চলা তদন্তে ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়।

আসামি শহিদ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি।

রেজাউল করিম মন্টু বর্তমান জয়পুরহাট সদরের বাসিন্দা। জেলা শহরের প্রফেসর পাড়ার রাজাকার বিল্ডিং নামে পরিচিত বাসায় থাকতেন। তিনি জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর।

পলাতক নজরুল ইসলাম ঢাকায় তেজগাঁওয়ে থাকেন। শহিদ মণ্ডলের বাড়ি নওগাঁর বদলগাছী থানার চাঁপাডাল গ্রামে।

আসামিদের বিরুদ্ধে আনা তিন অভিযোগ

অভিযোগ-১: এ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের রানাহার গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র সাহেব আলী, আকাম উদ্দিন, আজিম উদ্দিন মণ্ডল, মোজাফফর হোসেনকে হত্যাসহ ওই সময় ১০-১২টি বাড়ি লুট করে আগুন ধরিয়ে দেন।

অভিযোগ-২: ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আসামিরা নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খোজাগাড়ী গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের নিরীহ-নিরস্ত্র নুরুল ইসলামকে হত্যা করেন। এ সময় তারা ১৫ থেকে ২০টি বাড়ি লুটের পর আগুন ধরিয়ে দেন।

অভিযোগ-৩: ১৯৭১ সালের ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫টা থেকে পরদিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর আনুমানিক বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময়ে নওগাঁর বদলগাছী থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে হামলা চালিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের কেনার উদ্দিন ও আক্কাস আলীকে আটক করে নির্যাতন করে। পরে অপহরণ করে জয়পুরহাটের কুঠিবাড়ী ব্রিজে নিয়ে হত্যা করে। এ সময়ের মধ্যে আসামিরা ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর অগ্নিসংযোগ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর