ময়মনসিংহের ভালুকায় নদীর পাড় থেকে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয়ও শনাক্ত হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রশিদ মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম তাহমিদা আক্তার। তার বাড়ি উপজেলার বাল্লুকবেড় গ্রামে। তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
গ্রেপ্তার ২১ বছর বয়সী শাহ আলম দীপু ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর এলাকার বাসিন্দা। ভালুকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
এসআই জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দীপু ও তাহমিনার দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি দীপুকে বিয়ের জন্য চাপ দেন তাহমিনা। কিন্তু রাজি ছিলেন না দীপু। এ অবস্থায় ক্ষীপ্ত হয়ে দীপু তাহমিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২১ মে ভালুকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দুজন একসঙ্গে বসবাস শুরু করেন। এরপর ২৪ মে রাতে ওই বাসায় তাহমিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশে রাতেই পৌর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খিরু নদীর পাশের একটি গর্তে রেখে পালিয়ে যান দীপু।
এসআই মাহবুবুর বলেন, ‘গত বুধবার বিকেল ৫টার দিকে ওই গর্তে স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
‘পরে ওই দিন রাতে আমি একটি মামলা করি। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে রোববার মধ্যরাতে নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
ময়মনসিংহের আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার বিকেল ৫টার দিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে মুখ্য বিচারিক আদালতে আবেদন করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। এ সময় বিচারক ইমাম হোসাইন তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের সময় মুখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। কেউ হত্যার পর মরদেহ ফেলে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর থেকে নিয়মিত তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ওই যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে এ ব্যাপারে আরও তথ্য জানা যাবে।’