খুলনার ডুমুরিয়ায় মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন দুইজন। চিংড়া গ্রাম থেকে সোমবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন, সিরাজুল গাজী ও মনিরুল গাজী।
পাঁচজনকে আসামি করে সোমবার সকালে মাদ্রাসাছাত্রী ডুমুরিয়া থানায় মামলা করে। বাকি আসামিরা হলেন, মহিদুল মোড়ল, কারিমুল শেখ ও ইরানি বেগম। তাদের মধ্যে ইরানির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মহিদুল মোড়ল ও কারিমুল শেখের বাড়ি বাগদাড়িয়া গ্রামে। বাকিরা চিংড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া এসব নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারের বরাতে তিনি বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন প্রতিবেশী ইরানি বেগম ওই ছাত্রীকে পাশের গ্রাম বাগদাড়িয়ায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে একটি নির্জন বাড়িতে রাখা হয়। রাতে মহিদুল মোড়ল ও কারিমুল শেখ তাকে ধর্ষণ করেন।
‘গত ২১ মে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মহিদুল ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন। রাতে সিরাজুল গাজী ও মনিরুল গাজী তাকে ধর্ষণ করেন। ভোর হলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তারা। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা শেষে সোমবার সকালে ওই ছাত্রী ডুমুরিয়া থানায় মামলা করে।’
ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, ওই ছাত্রীর সঙ্গে মহিদুলের প্রেম ছিল। এর জেরে এত ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।’
শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি কনি মিয়া।