ঢাকার সাভারে ইন্টারনেট ব্যবসার দখলচেষ্টা, মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এক ইউপি সদস্য ও তার ছোট ভাইসহ সাতজনের নামে মামলা হয়েছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে জানান, সোমবার দুপুরে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ইন্টারনেট ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান।
আসামিরা হলেন আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রাজন ভূঁইয়া, তার ছোট ভাই রাকিব ভূঁইয়া, সহযোগী মো. জাহিদ, মো. শামীম, মো. শরীফ, মো. হৃদয় এবং মো. অনিক।
এজাহারে বলা হয়েছে, আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় ১০ বছর ধরে ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আসছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ভূঁইয়া ইন্টারনেট সার্ভিসের’ স্বত্তাধিকারী হাবিবুর রহমান ও জাহিদ ভূঁইয়া। গত ইউপি নির্বাচনে রাজন ভূঁইয়া মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদের ব্যবসা দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন।
এরই মধ্যে রোববার মেম্বার রাজনের ছোট ভাই রাকিবসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল পূর্ব নরসিংহপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে গিয়ে বেশ কিছু ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং তারা প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
এতে অস্বীকৃতি জানালে হাবিবুর ও জাহিদকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন তারা। এসময় ব্যাংক থেকে তুলে আনা হাবিবুরের কাছে থাকা ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান রাকিব ও তার সহযোগীরা।
‘ভুক্তভোগী’ জাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। কিন্তু গত নির্বাচনে রাজন ভূঁইয়া মেম্বার হওয়ার পর থেকে আমাদের নেটের ব্যবসা দখল নিতে চান। এমনকি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
‘এই সূত্র ধরে রোববার সে তার ছোট ভাই রাকিবকে পাঠিয়েছে আমাদের সংযোগ কেটে দিতে। এতে বাধা দিলে তারা আমাদের দুইজনকে পিটিয়ে আহত করে।’
অভিযোগের বিষয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রাজন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওইযে হ্যারা ইন্টারনেটের ব্যবসা নিয়া কাইলকা অনেক কথা কাটাকাটি হইছে। এইডা আইজকা ভাই মিউচ্যুয়াল হইয়া যাইব। বসবো আরকি, এলাকার মুরব্বিরা ভার (দায়িত্ব) নিছে। এ ব্যাপারে আমি জানি না আমার নাম দিছে কি না।’
এসআই এমদাদুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চাঁদা দাবির অভিযোগে ভুক্তভোগী ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ইউপি সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’