বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তামাক কোম্পানিকে জবাবদিহির দাবি

  •    
  • ৩০ মে, ২০২২ ১৮:১৭

‘বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অধিক তামাক ব্যবহারকারী জনগণের দেশ বাংলাদেশ। সুতরাং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তামাক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনার সময় এসেছে।’

তামাক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি উঠেছে।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২২ উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা মানস।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। মূল বক্তব্য পাঠ ও সভাপতিত্ব করেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ মনে করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনগুলো যুগোপযোগী করতে হবে। বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন/নীতির রক্ষাকবচ খ্যাত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (এফসিটিসি) আর্টিকেল ৫.৩ অনুসারে তামাক কোম্পানির প্রভাব বন্ধে গাইডলাইন প্রণয়নও অত্যন্ত জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অধিক তামাক ব্যবহারকারী জনগণের দেশ বাংলাদেশ। সুতরাং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তামাক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনার সময় এসেছে।’

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং সার্বিক উন্নয়নে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো তামাক। এ কথা সর্বমহলে স্বীকৃত। তামাক চাষাবাদ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবনসহ প্রতিটি ধাপেই পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে-২০১৭ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবন করে। ২০০৯ সালে তামাকসেবী ছিল ৪৩.৩ শতাংশ। তামাক সেবনের শতকরা হার নিম্নগামী হয়েছে, যা আশার কথা। পক্ষান্তরে, এমন কিছু অসামঞ্জস্যতা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।’

তামাক চাষে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তামাক চাষে প্রচুর সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হয় যা মাটি ও পানি দূষণ করে। মাছসহ জলাশয়ের উদ্ভিদচক্রের মারাত্মক ক্ষতি করে এটি। উদাহরণ হিসেবে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর কথা বলা যায়। পাহাড়ের ধারে দীর্ঘদিন ধরে তামাক চাষের কারণে তামাকের নির্যাস ও চাষে ব্যবহৃত সার এবং রাসায়নিক মিশ্রিত পানি সরাসরি গিয়ে পড়ছে নদীতে। এতে হালদার পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।’

তামাক চাষ ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তামাক চাষ সম্পূর্ণ বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

তামাক নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ

১. কৃষিজমি ও পরিবেশ সুরক্ষায় দ্রুত তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি পাস করা।২. কৃষকদের তামাকের বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারি উদ্যোগ।৩. তামাক পাতা রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক পুনরায় আরোপ করা।৪. প্রধানমন্ত্রীর বৃক্ষরোপণে জাতীয় পদকের জন্য তামাক কোম্পানিকে অযোগ্য ঘোষণা করা।৫. তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে তামাক কোম্পানির সিএসআর কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা।৬. জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রণয়ন করা।৭. ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) থেকে সরকারের ৯.৪৯ শতাংশ শেয়ার এবং কর্মকর্তা প্রত্যাহার করা। ৮. প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সাগুফতা সুলতানা প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর