বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাঁজা দিয়ে মিল্কশেক-চকলেট-কেক, বিক্রি অনলাইনে

  •    
  • ৩০ মে, ২০২২ ১৭:২৭

গুলশান থানার উপপরিদর্শক মিরাজ আকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চক্রটি ৫-৬ মাস ধরে বাসায় বসে গাঁজার নির্যাস দিয়ে মিল্কশেক, চকলেট ও কেক বানিয়ে আসছিল।’

রাজধানীর উত্তরার একটি বাসায় গাঁজার নির্যাস দিয়ে বানানো হয় মিল্কশেক, চকলেট ও কেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয় এসব খাবার সম্পর্কে। চাহিদা অনুযায়ী নগরীর যেকোনো গন্তব্যে পৌঁছে দেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী চক্রটির বিপণন ব্যবস্থাপক, ম্যানুফেকচারারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গুলশান থানা পুলিশ।

রোববার বিকেলে মাদক ডেলিভারির সময় প্রথমে জুবায়ের হোসাইন নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর সড়কের একটি বাসার ঠিকানা পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে অনুভব খাঁন রিবু ও নাফিসা নাজাকে আটক করা হয়।

অভিযানে অংশ নেয়া গুলশান থানার উপপরিদর্শক মিরাজ আকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চক্রটি ৫-৬ মাস ধরে বাসায় বসে গাঁজার নির্যাস দিয়ে মিল্কশেক, চকলেট ও কেক বানিয়ে আসছিল।’

তিনি জানান, গাঁজা দিয়ে তৈরি পাঁচটি চকলেটের বার (ওজন ৫ কেজি), ৯০০ গ্রাম গাঁজা, গাঁজা দিয়ে তৈরি দুটি মিল্কশেকের বোতল, ফুয়েল পেপারে মোড়ানো গাঁজার তৈরি ছোট ছোট ৫০টি চকলেট (ওজন ৩০০ গ্রাম), গাঁজা দিয়ে তৈরি দুটি চ্যাপ্টা চকলেটের বার (২০০গ্রাম), গাঁজা দিয়ে তৈরি দুই পিস কেক, চারটি চকলেট তৈরির ডায়েস, চারটি স্টিকার রোল, চারটি অ্যাঙ্কর গেলাটিন (৫০ গ্রাম), ব্যানানা ফ্লেবার জুস, সাতটি খালি প্লাস্টিকের জুস পট, প্লাস্টিকের গ্লাস-১০৭টি, একটি ল্যাপটপ, দুটি ফোন উদ্ধার করা হয়।

আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মিরাজ আকন জানান, তারা ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট, মিল্কসেক তৈরি করে।

এই ব্যবসায় আরও কারা জড়িত আছে তা জানতে তদন্ত চলছে। বাকি জড়িতদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে গুলশান পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর