বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
এ আদেশের পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, এ বিষয়ে তথ্যও আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৯(৪) ধারা,৯(৬) ধারা,১২ ও ৪৯ ধারা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আগামী ১৪ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং মেধাবী সন্তানদের জন্য ৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার কথা। সেটি করা হচ্ছে না। আইনের ধারা ৯-এর উপধারা ৬ অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত একটি সুনির্দিষ্ট অংশ গবেষণার জন্য রাখার কথা।
‘এই হিসাবগুলো পাঠাতে হবে ইউসিজির কাছে। ইউজিসি পরবর্তীতে এই রিপোর্ট পাঠাবে মন্ত্রণালয়ের কাছে। আর মন্ত্রণালয় পাঠাবে সংসদীয় কমিটির কাছে। পরে কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমরা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেটা জানার জন্য চেষ্টা করেছি। কনজ্যুমার অ্যাসোসিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি কোটা ও গবেষণার কাজে টাকা বরাদ্দ করেনি।’
তিনি বলেন, ‘একই আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী সরকারের কর্তৃব্য হচ্ছে আইন ভঙ্গ হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল এবং সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করবে। ধারা ৪৯-এ বলা হয়েছে এগুলো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে হবে। ‘এ পরিপ্রেক্ষিতে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের ব্যবস্থা আছে। বিগত বছরগুলোতে এসব কারণে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা আমরা শুনিনি।’
একই আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী সরকারের কর্তব্য হচ্ছে আইন ভঙ্গ হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল এবং সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করবে। ধারা ৪৯-এ বলা হয়েছে এগুলো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৫ বছরের কারাদণ্ড ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের ব্যবস্থা আছে। বিগত বছরগুলোতে এসব কারণে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা আমরা শুনিনি। এ কারণে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিটটি করেন।