রাজধানীর শ্যামপুরে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় এক জনের মৃত্যুদণ্ড, দুই জনের যাবজ্জীবন ও এক জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে তিন আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা এ রায় দেন।
আসামিদের মধ্যে তুহিনের মৃত্যুদণ্ড, তার ছোট ভাই এরফান ও আরেক আসামি রাব্বিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তার ফুফাত ভাই মাসুমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এরফান ও রাব্বিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তুহিন ও আমৃত্যু দণ্ড পাওয়া মাসুমকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে তুহিনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর তিন আসামির মধ্যে মাসুম পলাতক।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মো. মিলন এ তথ্য জানান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিহত শেখ ইসলাম পাভেল এবং আসামিরা শ্যামপুরের জুরাইন এলাকায় বাস করতেন। পাভেলের বোনকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন তুহিন। এ নিয়ে পাভেল ও তুহিনের মধ্যে বিরোধ ছিল।
২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর রাতে তুহিন ও পাভেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পাভেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে তুহিন চলে যান।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে জুরাইনে আসামিরা পাভেলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। পাভেলকে হাসপাতালে নিলে পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পাভেলের বাবা মনির হোসেন শ্যামপুর থানায় মামলা করেন।
২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর মামলাটি তদন্ত করে চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন পিবিআইয়ের সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদ খান। ২০২১ সালের আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়।
মামলাটির বিচার চলাকালীন ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আকলিমা আক্তার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি রায়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’