রুহুল আমিন নামে এক কিশোর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এলাকার বড় ভাইদের নির্দেশে এখানে এসেছি। আমাদের বড় ভাই নুরুল আজিম রনি রাজনীতি করেন। কলেজ যাওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলনের জন্য আর যাইনি। দুপুরে আমাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
যুবলীগ করার বয়সসীমা ৩২ থেকে ৬৪ বছর। অথচ চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের মিছিলে সরব উপস্থিতি দেখা গেছে কিশোরদের। যুবলীগ নেতাদের সমর্থনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রংবেরঙের টি-শার্ট পরে মিছিল-স্লোগান নিয়ে তারা আসে পাঁচলাইশের দি কিং অব চিটাগংয়ের সম্মেলনস্থলে।
৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা।
এর আগে প্রবর্তকের মোড়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কিশোর কাঁধে ব্যাগ নিয়েই মিছিলে অংশ নিয়েছে। এ সময় যুবলীগের পদপ্রত্যাশী নেতার নামে তাদের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে। তবে এসব মিছিলে দেখা যায়নি যুবলীগের কোনো নেতাকে। শুধু মিছিল নয়, ছোট ছোট পিকআপ ভ্যানেও সম্মেলনে অংশ নিতে দেখা গেছে কিশোরদের। অনেক মিছিলে এসব স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের কেউ কেউ নেতৃত্বও দেন।
মিছিলে অংশ নেয়া রুহুল আমিন নামে এক কিশোর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এলাকার বড় ভাইদের নির্দেশে এখানে এসেছি। আমাদের বড় ভাই নুরুল আজিম রনি রাজনীতি করেন। কলেজ যাওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলনের জন্য আর যাইনি। দুপুরে আমাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’
নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম এবার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কর্মীরা সিভিলে কেউ ছিল না৷ সবাই নির্ধারিত লাল রঙের টি-শার্ট পরা ছিল। তারা মির্জাপুর মুরাদপুর থেকে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে আসে। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছিলাম, তাই আমাকে ভালোবেসেই কর্মী-সমর্থকরা এসেছে।’
হালিশহর এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যানে করে সম্মেলনে এসেছেন একাদশের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম। এই কিশোর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার কথা বলেই বের হয়েছি। তাই কাঁধে ব্যাগ। বড় ভাইদের নির্দেশ তাই সব বন্ধুরা একসঙ্গে এসেছি। আসা-যাওয়ার খরচ বড় ভাই-ই দেবেন।’
তবে বড় ভাইয়ের নাম জানতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হয়নি এই কিশোর।
যুবলীগের সম্মেলনে মিছিলের ‘নেতৃত্বে’ কিশোররা
এ বিভাগের আরো খবর/p>