বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মারধর-চাঁদাবাজির অভিযোগ

  •    
  • ৩০ মে, ২০২২ ১৪:০৪

সায়ন’স ক্যাফে অ্যান্ড ফাস্টফুড নামের ওই দোকানের মালিক নাসিমা আক্তারের করা অভিযোগে বলা হয়, চাঁদা না দেয়ায় গত ২৩ মে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের, স্থানীয় ব্যবসায়ী টুটুল মিয়া ও মাসুম শেখ তার দোকানে এসে কাস্টমারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। একপর্যায়ে মোহাম্মদ বিশাল নামের এক কাস্টমারকে মারধর করেন। সেই সঙ্গে ১ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করার হুমকি দিয়ে চলে যান।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদা না পাওয়ায় কাস্টমারকে মারধর ও দোকান বন্ধের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ২৪ মে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সায়ন’স ক্যাফে অ্যান্ড ফাস্টফুড নামের ওই দোকানের মালিক নাসিমা আক্তারের করা অভিযোগে বলা হয়, প্রায় দেড় বছর আগে হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজারের গরুর হাট এলাকায় তিনি খাবারের দোকান দেন। দোকান পরিচালনা করেন নয়ন মোল্লা।

করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর থেকে হরিরামপুরের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের, স্থানীয় ব্যবসায়ী টুটুল মিয়া ও মাসুম শেখ বিভিন্ন সময় নামে-বেনামে চাঁদা দাবি করতেন।

টাকা না দেয়ায় গত ২৩ মে তারা দোকানে এসে কাস্টমারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। একপর্যায়ে মোহাম্মদ বিশাল নামের এক কাস্টমারকে মারধর করেন। সেই সঙ্গে ১ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করার হুমকি দিয়ে চলে যান।

বিশাল বলেন, ‘আমরা কয়েক বন্ধু মিলে খাচ্ছিলাম। সে সময় কাদের, টুটুল ও মাসুম এসে আমাদের গালাগাল করে। একপর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলে। তারপর আমরা সবাই দোকান থেকে বের হয়ে যাই।’

দোকানের মালিক নাসিমা বলেন, ‘দেড় বছর আগে প্রায় ১০ লাখ টাকা ধারদেনা ও ঋণ করে ব্যবসা শুরু করি। করোনার সময় বেচাকেনা কম হলেও করোনা সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে বেচাকেনা বাড়ে। তখন থেকেই তারা চাঁদা দাবি করত। আমি দিতাম না। সেদিনের ঘটনার পর থেকে দোকানে লোক আসা কমে গেছে।’

নয়ন মোল্লা বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমরা অনেক লোকসানে পড়ব। এই পরিস্থিতিতে খুব চিন্তায় আছি। আমরা আশা করি, পুলিশ এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে, যেন এ ধরনের সমস্যা আর না হয়।’

মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে টুটুল বলেন, ‘ঘটনাটি ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। এলাকার ঘটনা এলাকায়ই মীমাংসা করা হবে।’

আব্দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি তো তেমন কিছু না। এটা নিয়ে থানায় অভিযোগের কী আছে আর সাংবাদিকদের জানানোরই কী আছে? এলাকায় তো আমাদের সম্মান আছে। বিষয়টি মীমাংসার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’

এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর