বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিতর্কিত কাউন্সিলে টুকুপুত্রকে সভাপতি ঘোষণার অভিযোগ

  •    
  • ৩০ মে, ২০২২ ০১:৩৮

বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, ‘সম্মেলনের নামে প্রহসন হয়েছে। শামসুল হক টুকু কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে একতরফা সম্মেলন করে নিজের ছেলেকে সভাপতি ও অনুসারীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন।’

পাবনার বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেননি প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

বেড়া বিবি পাইলট স্কুল মাঠে রোববার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই সম্মেলনটি শুরু হয়।

দলীয় গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে সম্মেলন আয়োজন এবং একতরফা কাউন্সিলে কমিটি ঘোষণা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের এ আয়োজনকে পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হক টুকুর ব্যক্তিগত সম্মেলন আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

সম্মেলনে বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জনকে সভাপতি ও প্রভাষক আবু সাঈদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র আসিফ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছেলে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বেড়া বিবি পাইলট স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আমন্ত্রণপত্রে বিশেষ অতিথি রাখা হয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীরকে।

উদ্বোধক জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ও প্রধান বক্তা হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাদের কেউ সম্মেলনে যাননি।

আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীম ও সাংসদ শামসুল হক টুকু উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্মেলনকে নজিরবিহীন, অগণতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্রবিরোধী উল্লেখ করে বর্জন করেছেন বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াজেদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল।

আব্দুর রশিদ বলেন, ‘সম্মেলনের নামে প্রহসন হয়েছে। শামসুল হক টুকু কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে একতরফা সম্মেলন করে নিজের ছেলেকে সভাপতি ও অনুসারীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন।’

তার অভিযোগ, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কাউন্সিলর তালিকা তৈরির কথা। কিন্তু এমপি টুকু গোপনে নিজের মতো করে সেই তালিকা করেছেন।

রশিদ বলেন, ‘তারা সম্মেলনের আগে বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তা না করে গঠনতন্ত্র এড়িয়ে পকেট কমিটি করা হয়। আমি দলীয় সভাপতির কাছে এর বিচার চাই।’

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনের ইচ্ছায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রশ্নবিদ্ধ কাউন্সিলর তালিকায় তড়িঘড়ি করে সম্মেলন আয়োজন হচ্ছে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছিল।

‘শনিবার রাতেও টেলিফোনে রোববার সকালে কাউন্সিলর তালিকা সংশোধনের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন এস এম কামাল হোসেন। সকালে তিনি না আসায় প্রধান অতিথি এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনও আসেননি।’

প্রিন্স আরও বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেও এস এম কামালের পরামর্শে এমপি টুকু জেলা নেতাদের ছাড়াই সম্মেলন ও কমিটি করেছেন। এ ঘটনায় আমরা হতভম্ব। আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাবো।’

ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে শামসুল হক টুকু ও আসিফ শামস রঞ্জনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সম্মেলন বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে আমি সম্মেলনে যোগ দিতে পারিনি। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন।

‘দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে সম্মেলন হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতামত নিয়েই সম্মেলন হয়। ব্যক্তিগত কারণে তারা উপস্থিত না হলে সম্মেলন থেমে থাকবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর