বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিগগিরই আসছে নতুন জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’

  •    
  • ২৯ মে, ২০২২ ২৩:১৮

জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের বাসায় সাত দলের নেতাদের বৈঠকে জোটের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। কর্মসূচি নিরূপণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে চার দলের চার নেতাকে। আগামী মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে শিগগিরই আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির নেতৃত্বে ৭ দলের জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’। রোববার জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় রোববার অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

সাত দলের নেতারা বলছেন, জোটের কর্মসূচি নিরূপণের কাজ চলছে। জোটের আত্মপ্রকাশের দিন-ক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগামী জুনের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

বেশ কিছুদিন ধরে রাজনীতিতে নতুন জোট করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও গণসংহতি আন্দোলন।

জোটের নাম ও কর্মসূচি নিরূপণে রোববার আ স ম আব্দুর রবের উত্তরার বাসায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জোট গঠনের বিষয়ে সাত দলের নেতারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন বলে জানানো হয়েছে।

আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেএসডি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার ও কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য বহ্নি শিখা জামালী ও আকবর খান; গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ও আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

বৈঠক শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় নেতারা ৭ দলের এই যৌথ রাজনৈতিক উদ্যোগকে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ হিসেবে আত্মপ্রকাশের লক্ষ্যে একমত হন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির ভিত্তিতে এই মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করবে। একইসঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের রাজনৈতিক ভিত্তি ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনের তৎপরতায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকারও নিন্দা জানানো হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সমমর্যাদার ভিত্তিতে ৭ দলীয় জোট আত্মপ্রকাশ করবে। কৌশলগত বিষয়গুলো আলোচনা করা হচ্ছে। এরপর দ্রুতই জোট আত্মপ্রকাশ করবে।’

বৈঠকের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগেই নাম ঠিক করা হলেও আজকের (রোববার) বৈঠকে সেটা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন আন্দোলনের রূপরেখা তৈরির কাজ চলছে।

‘কেমন কর্মসূচি হবে এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনার ভিত্তিতে গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও নাগরিক ঐক্যের একজন করে নেতাকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা সিদ্ধান্তগুলোর খসড়া করবেন।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জোট কবে আত্মপ্রকাশ করবে সেই দিন-তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। যে কোনো সময় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। সেটা সামনের মাসের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহেও হতে পারে।’

সেটা বিএনপির সঙ্গে জোটগত ঐক্য হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নূর বলেন, ‘এই জোটের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছি আমরা। এখানে আমরা কোনো দলকে নির্দিষ্ট করে বলছি না। আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে যারা একমত প্রোষণ করবে তাদের সঙ্গেই আমরা আন্দোলনে যাব।

তবে আমরা মনে করি আগামীতে আন্দোলনে বিএনপি ও এই জোট পারস্পরিক শক্তি হবে। সে জন্য তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে তাদের সঙ্গে জোট হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’

জোটের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে নূর বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি হলো ফ্যাক্টর। আমরা আমাদের কর্মসূচিতে ৯০ সালের মতো শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা সরকারের বিদায় আর একটি সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ- এই প্রক্রিয়ায় যাব না। বরং আমরা ৭০ সালের মতো একটি নির্বাচন চাই, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো একটি শাসনতান্ত্রিক কাঠামোতে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসবে।’

এ বিভাগের আরো খবর