বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে এনে তা জায়েজ করে আবারও লুটপাটের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সরকার তথা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের সব সম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। পত্রিকায় দেখলাম, জানি না কী হবে শেষ পর্যন্ত; পাচার করা অর্থ তারা নাকি (সরকার) ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে। এর মধ্য দিয়ে তারা আরেক শয়তানি শুরু করেছে। অর্থাৎ তারা নিজেরা যে টাকা পাচার করেছে সেগুলো ফিরিয়ে এনে জায়েজ করবে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ লুট করে নিজেরাই ফিরিয়ে এনে আবারও লুটপাটের সুযোগ করে দেবে।’
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কোনোমতেই আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যায় না। এই সরকার আর একদিন থাকলেও আমাদের ক্ষতি।’
‘টেমস নদীর পাড়ে বসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন, এটা কি সম্ভব হবে’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, অবশ্যই সম্ভব হবে। কারণ তারেক রহমান সেই রাজনীতি ধারণ করছেন, যে রাজনীতি এই দেশের মানুষের রাজনীতি। মানুষ চায় জিয়াউর রহমানের দর্শন। আর তারেক রহমান তা ধারণ করে আছেন।’
দেশের মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা এবং এই সরকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একা হয়ে গেছে। সে কারণে তারা ভীত হয়ে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিচ্ছে, পাগলামি করছে। যেকোনো সময় তাদের বিদায় হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর এভাবে হামলা করাটা সুস্থ মস্তিষ্কের আচরণ নয়। সরকার পতনে এখন শুধু একটা ধাক্কা দেওয়া বাকি।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।