স্ত্রীর করা যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন সিলেটের বিয়ানীবাজারের পীরের চক এলাকার দুলাল আহমদ। অবস্থান শনাক্তের পর সাদা পোশাকে একদল পুলিশ তাকে ধরতে শনিবার বিকেলে অভিযানে যায়। সে সময় স্থানীয় হাওরে নৌকাবাইচ উপভোগ করছিলেন দুলাল। পুলিশ দেখে দৌঁড়ে তিনি ঝাঁপ দেন হাওরে।
কুশিটিকি সেতুর উত্তর হাওর থেকে রোববার সকালে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ।
বিয়ানীবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, দুলাল ছিলেন পুলিশ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল ২০২১ সালে। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে আসেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শনিবার বিকেলে দুলাল ওই হাওরে নৌকাবাইচ দেখতে গিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে সাদা পোশাকের একদল পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়। পুলিশ বুঝতে পেরে দুলাল দৌঁড়ে হাওরে গিয়ে ঝাঁপ দেন। কিছুদূর সাঁতারও কাটেন। পুলিশ সদস্যরাও নৌকা নিয়ে তাকে ধাওয়া করতে থাকে। এক পর্যায়ে দুলাল ডুবে যান।
ওসি আরও জানান, গ্রামের লোকজন কদম আনি বিলে রোববার সকালে মাছ ধরতে গেলে ভাসমান মরদেহ দেখে। তারা দেখেই মরদেহ দুলালের বলে চিনতে পারে। এলাকার লোকজন মরদেহ তুলে আনে। পরে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দুলালকে গ্রেপ্তারে অভিযানে ছিলেন বিয়ানীবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন। ঘটনার বিষয়ে জানতে তাকে কল দেয়া হয়। তবে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।