বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করায় সংবাদকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ সভাপতির ক্ষোভ

  •    
  • ২৯ মে, ২০২২ ২০:১৫

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আজকে তথাকথিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আমরা দেখি, আপনারা ছাত্রলীগকে নিয়ে লিখছেন, ছাত্রলীগের হামলাকারীদের চিহ্নিত করছেন। এখন আপনারা সবাই আরামে ঘুমাতে পারেন তো এ জন্যই মনে হয় অনেক কিছু ভুলে গেছেন। মনে করে দেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস করতো ছাত্রদল।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে লাঠিসোটা, রামদা হাতে নেতাকর্মীদের চিহ্নিত করে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

বলেছেন, ছাত্রলীগ না থাকলে ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা থাকত না, এমনকি এখন রাতে যে আরামে সবাই ঘুমায়, সেটাও ঘুমাতে পারত না।

এ সময় ছাত্রদলের ‘পক্ষে’ সাংবাদিকরা খবর প্রকাশ করার অভিযোগও করেন জয়। বলেন, আপনারা ছাত্রদলের ইতিহাস ঘেঁটে দেখেন।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। এসব খবরের বিষয়েই ক্ষোভ দেখান ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিয়ান খান জয়।

তিনি বলেন, ‘আজকে তথাকথিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আমরা দেখি, আপনারা ছাত্রলীগকে নিয়ে লিখছেন, ছাত্রলীগের হামলাকারীদের চিহ্নিত করছেন। এখন আপনারা সবাই আরামে ঘুমাতে পারেন তো এ জন্যই মনে হয় অনেক কিছু ভুলে গেছেন। মনে করে দেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস করতো ছাত্রদল।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের উপর ছাত্রদলের ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীরা’ হামলা করেছে দাবি করেন জয়। সেই হামলার প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্রলীগ রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির অনেক সদস্য ছাত্রদলের পক্ষে নিউজ করেন বলেও অভিযোগ তোলেন জয়। বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির অনেক ছোট ভাইয়েরা ছাত্রদলের পক্ষে নিউজ করে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, দয়া করে সুশৃঙ্খল একটা ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেবেন না। আপনারা ছাত্রদলের ইতিহাস ঘেঁটে দেখবেন।’

জয় বলেন, ‘আমাদের খারাপ দিকগুলো নিয়ে নিউজ করেন, আমরা সাধুবাদ জানাব। কিন্তু কিছু হলেই ছাত্রলীগকে নিয়ে আপনারা নিউজ করেন, কারও হাতে কোন অস্ত্র নেই, অথচ একটা ছবি দিয়ে বলছেন, অস্ত্র হাতে।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রলীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতিতে ছাত্রলীগের প্রথম পরিচয় ছাত্র, তারপর তারা ছাত্রলীগ নেতা। সুতরাং আপনারা ঢালাওভাবে কিছু হলেই বলেন, ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে; কেন? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী সবাই কি ছাত্রলীগ করে? তাদের কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই? সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বললেই কি তারা ছাত্রলীগ হয়ে গেছে? আপনারা এই ধরনের কথাবার্তা থেকে সরে এসে সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলুন।’

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘সেদিন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বাঁশ-লাঠি হাতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করলে তারা কি বসে থাকবে? অবশ্যই না। তারা প্রতিহত করেছে। ছাত্রলীগ তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছে। শিক্ষাঙ্গনের কোন ছাত্রদল যদি অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়ার জন্য ছাত্রলীগ প্রস্তুত আছে।’

ঢাবির হলে গেস্টরুম নিয়েও কথা বলেন আল নাহিয়ান। সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা বারবার বলেন, গেস্টরুম সংস্কৃতি। একটি হলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকে। সেই শিক্ষার্থীরা যদি গেস্টরুমে বসে তাদের মধ্যে মতবিনিময় করে তাহলে আপনাদের সমস্যা কী? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আমার বড় ভাইদের সাথে যেখানে সেখানে বসে পরিচিতি হতে পারি।

‘আপনারা না জেনে নিউজ করেন, গেস্টরুম টর্চার সেল। টর্চার সেল বলতে আপনারা কী বুঝাচ্ছেন? সেটা কি আবদ্ধ কক্ষ? সেখানে অনেক জানালা, বাতাস এমনিক টয়লেটও আছে। কিন্তু আপনারা কেন বারবার গেস্টরুমকে টর্চার সেল বলে মিথ্যাচার করে ছাত্রলীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেন? আপনারা যেসব সুশীল রাতে মধুর ঘুম ঘুমান, আপনাদের আবারও বলছি, ছাত্রলীগ আছে বিধায় আপনারা আরামে আছেন।’

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বিভিন্ন হল ইউনিটের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, হোম ইকোনমিক্সসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ইউনিটগুলোর নেতাসহ পাঁচশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর