বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিলোত্তমাসহ ছাত্রলীগের ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাত্রদল নেত্রীর

  •    
  • ২৯ মে, ২০২২ ২০:১৫

ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলমের অভিযোগ গ্রহণের আগে তার জবানবন্দি নেয় আদালত। শুনানি শেষে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ২৬ জুন শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।

চুরি, মারধর ও হত্যার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদারসহ ৩৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের অজ্ঞাত ১০০ নেতাকর্মীকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলম এ মামলা করেন।

আদালত অভিযোগ গ্রহণের আগে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে। শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ২৬ জুন শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, সহ-সম্পাদক রাশেদ ফেরদৌস আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শামছুন নাহার হল ছাত্রলীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার ঊর্মি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নাজির, খান মোহাম্মদ শিমুল, উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শাহিন তালুকদার, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাবির জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের অভিজ্ঞান দাস অন্তু, অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ, সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন, বিজয় একাত্তর হলের মজিবুল বাশার, সলিমুল্লাহ হলের নাজিমুদ্দিন সাইমুন ও চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের।

আসামির তালিকায় নাম থাকা অন্যরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ আহাম্মদ, এম রহমান হলের আব্দুর রাহিম, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান পিকুল, এসএম হলের সায়েম, এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল, শহীদুল্লাহ্ হলের সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার, সূর্যসেন হলের নাহিদ সাদি, জগন্নাথ হলের ঐশিক শুভ্র ও সৌরভ চক্রবর্তী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তারা হাতে থাকা লোহার রড, রামদা, চাপাতি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে এবং এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের হামলায় ছাত্রদলের প্রায় ৭০-৮০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এই মামলার আসামি আল আমিন রহমানের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মামলার বাদী মানসুরাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে তিনি হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখন আসামি রাশেদ ফেরদৌস আকাশের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য তাকে আঘাত করতে থাকেন।

আসামি নাজিমুদ্দিন ও তিলোত্তমা শিকদার লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মানসুরাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন। মানসুরা নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। তখন তার হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ জখমপ্রাপ্ত হয়। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি তিলোত্তমা শিকদার ও আসামি খাদিজা আক্তার ঊর্মি তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেন।

গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাবি টিএসসির বাইরের চত্বরের পশ্চিম পাশে মানসুরা আলম ও জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের কর্মী আতিক মুর্শেদসহ বেশ কয়েকজনকে পেটায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার আবারও ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ বাধলে সেখানে ফের আহত হন মানসুরা।

এ বিভাগের আরো খবর