পেশিশক্তির ভরসায় আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না। জনগণই রাজনীতির শেষ কথা বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ রোববার এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণের ওপর বিশ্বাস করেন, বন্দুকের নলে নয়। আওয়ামী লীগ পেশিশক্তির ভরসায় রাজনীতি করে না। জনগণের কল্যাণে, জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা চলছি। আমরা জনবিচ্ছিন্ন কাউকে ভয় করি না।
‘শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন তাতে আগামী নির্বাচনে অবশ্যই মানুষের আস্থা পাবেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা যখন দেশে পদার্পণ করেন তখন বাংলাদেশের অবস্থা ছিল করুণ। সেদিন ঝড়-বৃষ্টিতে আকাশ ছিল প্রকম্পিত। যেন তার জন্যই সেদিন আকাশ কেঁদেছিল। সেদিন জনগণ বলেছিল, শেখের বেটি এসেছেন এখন আমাদের আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনলেই আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই৷ আমার রাজনীতির শুরু এ প্রতিষ্ঠান থেকেই। আগে শিক্ষাঙ্গনগুলো কলুষিত হয়েছিল সেশনজটে, সন্ত্রাসের মাধ্যমে। আবারও সে রকম করার অপচেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রলীগকে সজাগ থাকতে হবে, ভূমিকা রাখতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন বলেই আজ পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল পাচ্ছি। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেন না, স্বপ্ন পূরণ করান।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ছিলেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, বাবু দেবাশীষ বিশ্বাস, গোলাম ফারুক স্বপন, কামরুল হাসান রিপন, গাজী আবু সাইদ, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপনসহ সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতারা।