বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুবিতে একাত্তরের টর্চার সেল হবে স্মৃতি জাদুঘর

  •    
  • ২৯ মে, ২০২২ ১৯:০৮

টিনশেড ঘরটি সংস্কার ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়নে ইউজিসি থেকে প্রাথমিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলেও জানান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।

বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত একটি টিনশেড ঘর মুক্তিযুদ্ধের সময় টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করত হানাদার বাহিনী। এবার ওই ঘরটিকে ‘গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে সংরক্ষণ ও এর পারিপার্শ্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে রোববার দুপুরে খুলনার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

সভায় উপাচার্য বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতার সপক্ষের নিরীহ শত শত মানুষকে হত্যা করে লাশ গল্লামারী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ফেলত। এখানে তৎকালীন খুলনা রেডিও সেন্টার কার্যকর ছিল এবং সেটি হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হতো।’

উপাচার্য জানান, ওই রেডিও সেন্টারের পাশেই ছিল টিনশেড ঘরটি। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এনে ওই ঘরটিতেই নৃশংসভাবে নির্যাতন করে হত্যা করত। স্মৃতিবাহী সেই ঘরটি এখনও ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে আছে। তবে সংস্কারের অভাবে একাত্তরের স্মৃতিচিহ্ন মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এ অবস্থায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিদর্শন হিসেবে রাখার উদ্দেশে ওই টর্চার সেলটিকে ‘গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতি জাদুঘর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরসহ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্যরা স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। তারা জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সপক্ষে মত দিয়েছেন।

এদিকে টিনশেড ঘরটি সংস্কার ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়নে ইউজিসি থেকে প্রাথমিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলেও জানান উপাচার্য। কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তারা মত দেন, এমন উদ্যোগ আরও অনেক আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেয়া উচিত ছিল। কেননা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বধ্যভূমির ওপরই প্রতিষ্ঠিত।

আলোচনার সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে ওই স্থানে যুদ্ধের স্মৃতি স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা এখানে শহীদ হাবিব ও আনছারসহ অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরও স্মরণ করেন।

সভায় উপস্থিত থেকে মতামত দেন মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদ প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ইউনিটের কমান্ডার সরদার মাহবুবার রহমান ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিটের কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবীর।

এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরাসহ উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, সংস্কার ও উন্নয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থপতি প্রফেসর ড. মাহফুজ উদ দারাইন, সহযোগী অধ্যাপক স্থপতি এসএম নাজিম উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রাজ্জাক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আতিয়ার রহমান, এস্টেট শাখার উপরেজিস্ট্রার কৃষ্ণপদ দাশ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর