বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রদল ক্ষমা চাইলে ক্যাম্পাসে আসতে পারবে: ছাত্রলীগ

  •    
  • ২৯ মে, ২০২২ ১৬:১৪

নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘জাতির পিতা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিয়ে যারা ধৃষ্টতা দেখাবে, তাদের ক্যাম্পাসে আসার কোন দরকার নেই। তারা ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে রাজনীতি করুক। জাতির পিতার আদর্শকে ভুলুণ্ঠিত করার জন্য যারা স্বপ্ন দেখেন, তাদের প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাই যথেষ্ট। ছাত্রলীগ কোনো অন্যায় রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দেয়া ‘ধৃষ্টতাপূর্ণ’ বক্তব্যের জন্য ছাত্রদলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। তা না হলে ‘তরুণ প্রজন্ম’ ছাত্রদলকে প্রতিহত করবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই ঘোষণা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের উপর ছাত্রদলের ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীরা’ হামলা করেছে দাবি করেন জয়। সেই হামলার প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্রলীগ রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘জাতির পিতা এবং বঙ্গবন্ধু কন্যাকে নিয়ে যারা ধৃষ্টতা দেখাবে, তাদের ক্যাম্পাসে আসার কোন দরকার নেই। তারা ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে রাজনীতি করুক। জাতির পিতার আদর্শকে ভুলুণ্ঠিত করার জন্য যারা স্বপ্ন দেখেন, তাদের প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাই যথেষ্ট। ছাত্রলীগ কোনো অন্যায় রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না।’

ছাত্রদলের আহতদের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘তাদের তথাকথিত আহত দুই তিনজন নাকি হাসপাতালে ভর্তি। তাদের বাসায় যাওয়ার সময় হয়েছে, কিন্তু বাসায় যাচ্ছে না। কারণ লন্ডন থেকে তাদের অনেক অর্থ আসে। সেখানে আবার রগ কাটা সংগঠনের সভাপতি (ছাত্রশিবির) নাকি তাদেরকে দেখতে গিয়েছে। সুতরাং আপনারা কি বুঝেছেন তাদের উদ্দেশ্যটা কী?

‘তাদের উদ্দেশ্য একটাই, এতো সুন্দরভাবে যে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে এটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। সন্ত্রাসীর আস্তানা এই ক্যাম্পাসে হবে না। ছাত্রলীগ মাঠে আছে। শিক্ষার্থী বন্ধুদের পাশে ছাত্রলীগ থাকবে।’

জয় বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী প্রস্তুত রয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই সফল হবে না। আমরা তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেব। আগামী নির্বাচনে জনপ্রিয়তার সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও সরকার গঠন করবে।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়ন সাধন করেছেন, সেই উন্নয়ন এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর হৃদয়ে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষার্থীদের মনে কষ্ট দিয়ে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চায়।

‘সম্প্রতি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা তারাও প্রেস ক্লাবের সামনে বলেছেন, ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার। তাদের এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, খুনি জিয়ার নেতৃত্বেই পঁচাত্তরে সেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের নতুন কমিটি হওয়ার পর থেকে তারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। তারা বাংলাদেশে আবারও খুনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছে। ছাত্রসমাজ তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে এই চাচ্চুবাহিনীকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করবে।’

মানবন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, বিভিন্ন হল ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, হোম ইকোনমিকসসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ইউনিটগুলোর নেতাসহ, পাঁচশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাম্পাসে বহিরাগত এনেছে ছাত্রলীগও

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে ঢুকেছে দাবি করে তার সমালোচনা করেছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। তবে হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ ইউনিট থেকে বহিরাগত নিয়ে এসেছে ছাত্রলীগও।

বিগত কয়েকদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে হওয়া হামলায় ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে সেসব বহিরাগতরাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

আজকের মানববন্ধনেও হোম ইকোনমিক্স ছাত্রলীগসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, এমন বহিরাগত নেতাকর্মীদের উপস্থিত ছিলেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে হোম ইকোনমিক্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শারমিন সুলতানা সনি ও সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার প্রভাতী প্রশ্নের কোনো উত্তর দেবেন না বলে সরে যায়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর