বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দেয়ার মামলায় হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানি পিছিয়েছে। শুনানির জন্য ৫ জুন নতুন তারিখ ঠিক করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
রোববার আসামি পক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ নতুন তারিখ ঠিক করে দেয়।
আদালতে তারেক-জোবাইদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
সময় আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী কায়সার কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির জন্য আজ সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।’
এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান রোববার আদালতে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন কিনা?’
তখন বিচারক নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আপনার এই প্রশ্নের বিষয়েও ৫ জুন শুনানি হবে।’
পরে আদালত ৫ জুন পরবর্তী দিন ঠিক করে দেয়।
এক যুগের বেশি সময় পর গত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে তারেক ও জোবাইদার ওই মামলায় রুলের শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্য তালিকায় আসে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক।
সেখানে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবাইদা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।
দুদক এই মামলা করার পর একই বছর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট আবেদন করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
এরপর আসামিরা এই মামলা বাতিলের আবেদন করলে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয়। দীর্ঘ বিরতির পর রিট মামলাগুলো গত ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় এলে রুল শুনানির দিন ধার্য্য করে আদালত। তবে শুনানি পেছানোর জন্য আবদেন করলে এক মাস পর রোববার দিন ঠিক করে দেয় হাইকোর্ট।
এ মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবাইদা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তখন এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করে হাইকোর্ট। সেই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ হয়ে যায়।