বিএনপিসহ যারা পদ্মা সেতু চায়নি, সব বাধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত সেতু হয়ে যাওয়াতে তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোববার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক যাতে অর্থায়ন না করে সে জন্য নানা ধরনের অপতৎপরতা ছিল। আপনারা জানেন, যখন বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলল, তখন টিআইবি সেটির গভীরে না গিয়ে আগ বাড়িয়ে তারা বারবার বক্তব্য রেখেছে। আরও অনেকে একই ভূমিকা নিয়েছে। আমি সবার নাম বলে কাউকে খাটো করতে চাই না। কারণ তাদের এসব অপতৎপরতার পর যখন পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, তখন তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে।
এখন পদ্মা সেতু ঘিরে বিএনপি দেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে তার জন্য দেশের মানুষ আজ উদ্বেলিত। যদি মানুষকে সুযোগ দেয়া হয় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে যাওয়ার, তাহলে পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার মানুষে ভর্তি হয়ে যাবে। মানুষের এই উচ্ছ্বাস বিনষ্ট করতে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় বিএনপি। তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে, এ কারণে মানুষের দৃষ্টিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করতে নানা আবোলতাবোল কথা বলছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস করছে, হাইকোর্টের সামনে সন্ত্রাস করছে। সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশের নামে আবারও সেই পুরোনো খেলা। অগ্নিসন্ত্রাস হচ্ছে অগ্নিসংযোগ হচ্ছে। আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং আবার অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা যদি চালানো হয় তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গেতথ্যমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্ত জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত আছেন। তার দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং দেশে বিএনপির নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে, কোনো ঘটনা ঘটলে তার দায় খালেদা জিয়ার ওপরও বর্তায়। তিনি জেলখানায় থাকলে এই প্রশ্ন আসত না।
একই সঙ্গে এর দায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপরও বর্তায় বলে জানান তিনি। বলেন, ‘সে জন্য প্রশ্ন উঠেছে খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখার প্রয়োজন আছে কি না? না তাকে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানো যায়।’
ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষহামলায় ছাত্রলীগের উসকানি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাটি ঠিক তার উল্টো। সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি। উসকানি দিয়েছে ছাত্রদল। যখন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে যায় তখন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দেবেই।’
তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘যারা ছাত্রদল করে তাদের বয়স কত। ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারির বয়স কত, তারা কি ছাত্র? তারা তো ছাত্রের বাবা। ছাত্রের বাবারা যখন সন্ত্রাস করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চায়, তখন ছাত্ররা তো বাধা দেবেই।’