বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযান

  •    
  • ২৯ মে, ২০২২ ১৩:২৯

গত বৃহস্পতিবার সারা দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে রাজধানীর চানখাঁরপুল ও বাড্ডায় অভিযান চালানো হয়েছে।

রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান চালায়।

চানখাঁরপুলে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়।

চানখাঁরপুল মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টারসহ পর্যায়ক্রমে আরও কয়েকটি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়।

আব্দুল জব্বার মন্ডল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অ্যাকটিভ ব্লাড ব্যাংক ও ট্রান্সফিউশন সেন্টার আলট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত দুই বোতল ইকো জেল মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় পাওয়া গেছে। যে কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

‘এছাড়া মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ স্ট্রান্ডার্ড গ্লুকোজ পাওয়া গেছে। তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুইটি প্রতিষ্ঠান মিলে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

অনিবন্ধিত ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই সহকারী পরিচালক।

এদিকে বেলা ১১টার দিকে উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভোক্তা অধিকারের পরিদর্শন টিম হাসপাতালে অভিযানে নামে। শুরুতে উত্তর বাড্ডার ঢাকা ক্রাউন মেডিক্যাল সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এতে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি।

তবে এই হাসপাতাল থেকে খানিকটা দূরে ডগমা হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ কিট এবং ওষুধ পাওয়া গেছে। হাসপাতালটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এ ছাড়া একই এলাকার মেডিলিংক হাসপাতালে ২০২০ সালের মেয়াদোত্তীর্ণ কিট পাওয়া যাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

২০২০ সালে মেয়াদউত্তীর্ণ সার্জিকাল সুতা, ব্লেড ও মেডিক্যাল সামগ্রী পাওয়া গেছ বাড্ডা জেনারেল হাসপাতালের ফার্মেসিতে। সেখানে এমন ওষুধ পাওয়া গেছে যেগুলোর মূল্য তালিকা নেই। এসব অনিয়মের ফলে হাসপাতালটিকে ২০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাড্ডা এলাকায় পাঁচটি হাসপাতালের লাইসেন্স, ল্যাব, ফার্মেসি পরিদর্শন শেষে তিনটি হাসপাতালে অনিয়ম পাওয়ায় মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকারের মোবাইল টিম। দুইটি হাসপাতালকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা ও আরেকটি হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

হাসপাতালের মালিকদের উদ্দেশে ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আপনাদের সচেতন হতে হবে। এক বছর আগে মেয়াদ শেষ হয়েছে এমন কিট প্রত্যাশিত না।’

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টাগুলোর ওপর পর্যবেক্ষণ ও তদারকি নিয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

গত বৃহস্পতিবার সারা দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ের পর নিবন্ধনহীন কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

এ বিভাগের আরো খবর