৪৫৬ আসনের মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে মাত্র ১৬৫ যাত্রী নিয়ে।
রোববার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন ছেড়ে যায়। করোনা-পরবর্তী সময়ে ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাত্রী কিছুটা কম বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
করোনার কারণে দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফের চালু হওয়া ট্রেনটিতে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৭০টি। এর মধ্যে ভারতীয় যাত্রী ১৬ জন। ইন্দোনেশিয়ার একজন। অন্যরা বাংলাদেশি। ৪৫৬ আসনের এই ট্রেনে ১৬৫ যাত্রী যাওয়ায় ফাঁকা থেকে যায় প্রায় ৬৪ শতাংশ আসন।
সকালে ট্রেনযাত্রা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। তিনি জানান, এখন থেকে ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচ দিন চলাচল করবে। ট্রেনটিতে মোট আসন রয়েছে ৪৫৬টি। কিন্তু প্রথম দিনেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীসংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম। তবে ট্রেন ফের চালু হওয়ায় ভারতগামী যাত্রীরা আনন্দিত।’
সকালে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এর এক বছর পর মিতালী এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা হয়। পরে ঈদুল ফিতরের আগে আকাশ ও সড়কপথে পুরোদমে যাতায়াত চালু হলেও ঝুলে ছিল রেল যোগাযোগ।
ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন ম্যানেজার লিটন চন্দ্র দে বলেন, ‘ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে মৈত্রী এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে। বিকেল ৪টায় ট্রেনটি কলকাতা স্টেশনে পৌঁছাবে। আগামীকাল সোমবার আবার কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে বিকেল ৪টায় ঢাকা আসবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা, পূজা, ঈদের ছুটি এবং শীতকালে এই ট্রেনের সব আসনেই যাত্রী পরিবহন করা হয়। অন্যান্য সময় গড়ে ৩০০ আসনে যাত্রী যায়। এখন করোনা-পরবর্তী সময়ে ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাত্রী কিছুটা কম। এটা ক্রমান্বয়ে বাড়বে।’