বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই নাজিমের দুর্নীতির তদন্তে এলজিআরডি

  •    
  • ২৮ মে, ২০২২ ২২:৩২

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাতক্ষীরার উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস জানান, পৌরসভার সিইও নাজিম উদ্দীনের দুর্নীতি গণমাধ্যমে এলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নজরে আসে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৯ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের খুলনার বিভাগীয় পরিচালক গিয়াসউদ্দীনকে দিয়ে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়।

সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাজিম উদ্দীনের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হচ্ছে সোমবার।

স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিআরডি) খুলনা বিভাগীয় পরিচালক গিয়াসউদ্দীন সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে এ দিন তদন্ত কার্যক্রম পরিচলনা করবেন। সিইও নাজিমের বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণ, মাদক সেবন, হত্যার হুমকিসহ দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

চার বছর আগে কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেয়া তৎকালীন আরডিসি নাজিম উদ্দীন।

চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন নাজিম উদ্দীন।

পৌরসভার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মাচারী জানান, যোগ দেয়ার শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে তার বিরুদ্ধে।

অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করার জন্য অন্তত হাফ ডজন মানুষের কাছ থেকে বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে নাজিম উদ্দীনের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী কাজী বিরাজ হোসেন জানান, অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে কমপক্ষে ৬ জনের কাছ থেকে নাজিম উদ্দীন কমপক্ষে ৬ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। নিজ অফিসে বসে ফেনসিডিল ও মাদক সেবন করেন। পৌরসভার সরকারি গাড়িতে করে সীমান্ত থেকে প্রতিদিন মাদক এনে অফিস ও তার বাসায় পৌঁছে দিতে হতো। এসব ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করায় নাজিম উদ্দীন পিটিয়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেন।

সাতক্ষীরা পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান বাপ্পী জানান, তাকেসহ সাত জনকে কোনো নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছেন সিইও নাজিম। সে সঙ্গে তিনি পানি বিভাগের ২৭ জনের বেতন বন্ধ করে পৌরসভায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন।

কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা আরিফুর জানান, প্রবেশ নিষিদ্ধের পর পৌরসভায় ঢুকলে দুই বছরের জেল ও জরিমানা অথবা গুলি করে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন সিইও নাজিম উদ্দীন।

সাতক্ষীরা পৌরসভার লাইসেন্স শাখার কর্মচারী সোহেল জামান রুবেলের অভিযোগ, ঈদের আগে বেতন বোনাস না পেয়ে মেয়রকে জানানোর কারণে বিনা নোটিশে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতিও দিয়েছেন নাজিম উদ্দীন।পৌরসভার মেয়র তাজকীন আহমেদ চিশতী বলেন, ‘সিইও নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীরা প্রমাণসহ আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুলিপি দিয়েছি।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সাতক্ষীরার উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস জানান, পৌরসভার সিইও নাজিম উদ্দীনের দুর্নীতি গণমাধ্যমে এলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নজরে আসে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৯ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের খুলনার বিভাগীয় পরিচালক গিয়াসউদ্দীনকে দিয়ে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়।

তদন্ত কর্মকর্তা সোমবার সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে বসে তদন্ত কাজ করবেন। ২০২০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেন তৎকালীন আরডিসি এই নাজিম উদ্দীন। পরে বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে তার বেতন কাঠামো ষষ্ঠ থেকে সপ্তমে নামানো হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার বৃদ্ধ নফু মাঝিকে কান ধরে টেনে হিঁচড়ে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর