রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার ১০ গ্রাম রক্ষায় স্থানীয়দের বাঁধ দেয়ার চেষ্টায় এগিয়ে এসেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বাঁধের জন্য বৃহস্পতিবার ২ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছে পাউবো। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা এখন সেসব ব্যাগে বালু ভরছেন।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ শনিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাউবোর কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এসে ২ হাজার জিও ব্যাগ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, প্রয়োজনে আরও ব্যাগ দেবেন।
‘ব্যাগগুলোতে এখন বালু ভরে মুখ বন্ধ করার কাজ চলছে। এরপর এগুলো বাঁধ রক্ষায় ফেলা হবে।’
রংপুর পাউবোর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (উত্তরাঞ্চল) আমিরুল হক ভূঞা বলেন, ‘ওই জায়গা নিয়ে আমাদের স্টাডি চলছে, গবেষণা চলছে। ভাঙন রোধে স্থানীয়রা নিজেরাই বাঁধ দিচ্ছেন। তারা সহযোগিতা চাওয়ায় সহযোগিতা করা হয়েছে। আরও করা হবে।’
প্রতি বছর তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারায় কোলকোন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বিনবিনিয়া নারকেল তল এলাকার মানুষ।
এবার ১০ গ্রাম রক্ষায় নিজেরাই বাঁধ তৈরি শুরু করেন স্থানীয়রা। এ কাজে কেউ দিয়েছেন বস্তা, কেউ বাঁশ, আবার কেউ কেউ দিচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রম। প্রায় এক মাস ধরে প্রতিদিন তারা বাঁধের কাজ করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ৫০০ মিটার বাঁধ দিলেই টিকে যাবে গ্রামগুলো। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে না অন্তত ১০ হাজার পরিবার।
বাঁধ তৈরির কাজের ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিজেরাই বাঁধ তৈরি শুরু করেছিলাম। আশাও করছিলাম যেন পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের পাশে দাঁড়ায়। আপাতত তারা কিছু ব্যাগ দিয়েছে। এটা আশার আলো। আমরা চাই এখানে একটি স্থায়ী বাঁধ হোক। স্থায়ী বাঁধ হলেই কেবল এই গ্রামগুলো রক্ষা পাবে।’
বিনবিনা চরের নারী ইউপি সদস্য নার্গিস বেগম বলেন, ‘আমরা চাইতেছি স্থায়ী বাঁধ হোক। বস্তা তো দিচে (দিয়েছে), আমরা চাই বোল্ডার ফেলাক। পাইলিং করে বাঁধটা বান্ধুক (বাঁধুক)। তাহলে নদীটা শান্ত থাকবে।’
স্থায়ী বাঁধের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রংপুর পাউবোর কর্মকর্তা আমিরুল।