বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসামে মোমেন-হিমন্ত বৈঠক

  •    
  • ২৮ মে, ২০২২ ১৩:১৭

বৈঠকে হিমন্তকে মোমেন জানান, আসাম ও ভারত তার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারণ তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসামের রাজধানী গোয়াহাটিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গোয়াহাটির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে শুক্রবার এ বৈঠক হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

বৈঠকে হিমন্তকে মোমেন জানান, আসাম ও ভারত তার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারণ তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তিনি জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারত থেকে এসে লড়াই করা পরিবারের সদস্যদের জন্য বাংলাদেশে ২০০টি বৃত্তি বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

ড. মোমেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিতে ২০২১ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন।

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এবং ভারত যৌথভাবে ঢাকা ও নয়াদিল্লি ছাড়াও বিশ্বের ১৮টি নির্বাচিত রাজধানীতে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করে। সে বিষয়টিও সামনে আনেন মোমেন।

হিমন্ত শর্মা বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংযোগ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রচারের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী আসাম।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাম্প্রতিক গতির প্রশংসা করেন।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, আসাম উন্নত চিকিৎসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এ কারণে চিকিৎসা ও উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের গন্তব্য হতে পারে রাজ্যটি।

তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসামের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় মূল ভূমিকা রাখছে।

ওই সময় সন্ত্রাস ও বিদ্রোহের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির প্রশংসা করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। অনেক ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করছেন। ভারতে আসা রেমিট্যান্সের চতুর্থ বৃহত্তম উৎস বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাম ও সিলেটের মানুষের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী সংযোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সেরা সম্পর্ক উপভোগ করছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের গতিশীল আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধির সুবিধা নিতে পারে আসাম। একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো এবং পর্যটনের প্রসারের ওপর জোর দেন তিনি।

নদী পরিবহন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য একটি কার্যকর উপায় হতে পারে বলেও মত দেন মোমেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা আশা করেন, আগামী ৫০ বছরে এটি আরও শক্তিশালী হবে।

ড. মোমেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর আয়োজিত একটি নৈশভোজে যোগ দেন। সেখানে আসিয়ান দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় ও আসামের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন৷

ড. মোমেন দুই দিনব্যাপী (শনি ও রোববার) ন্যাচারাল অ্যালাইজ ইন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারডিপেনডেন্সের তৃতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার গুয়াহাটিতে পৌঁছান।

তিনি শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গুয়াহাটি সফরের সময় মোমেন আসামের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নেবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর