কুষ্টিয়ায় পুলিশের পৃথক দুটি নাশকতা পরিকল্পনার মামলায় বিএনপি ও ছাত্রশিবিরের ২৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলার বিভিন্ন থানায় এসব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার বিকেলে তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুললে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
একাধিক সূত্রে জজানা গেছে, মামলা দুটিতে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে কুষ্টিয়া মডেল থানায়। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক পলাশ হোসেনসহ মোট ১৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মিরপুরে উপজেলা সভাপতি আব্দুর রশীদসহ ৬ বিএনপি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়া দৌলতপুর থানায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও ২ জন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এদের আটক করা হলেও তথ্য দিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে মামলা ও গ্রেপ্তারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন ওই থানাগুলোর ওসিরা।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করলেও সংখ্যা জানতে স্ব স্ব থানার ওসিদের ফোন দিতে বলেন। কিন্তু ৫টার আগে ওসিরা তথ্য জানাতে চাননি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি ছাব্বিরুল আলম বলেন, ‘এসআই সঞ্জয় মন্ডল বৃহস্পতিবার নাশকতা পরিকল্পনায় জড়িত ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।’
মিরপুর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ওই থানার এসআই সুমন চ্যাটার্জির করা মামলায় বিএনপির ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি জাবীদ হাসান বলেন, ‘এখানে গ্রেপ্তার করা দুইজনকে মিরপুরে করা মামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
গ্রেপ্তারের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপি নেতারা যখন মাঠে নামছে, তখনই আবার নাশকতার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার।’
এ সময় আটক করা নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক।