কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর কবরস্থান থেকে এক ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের পূর্বপাড়া ডোবারপাড় কবরস্থান থেকে শুক্রবার বিকেলে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার কোমরের নিচের অংশ পাওয়া যায়নি।
নিহত ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান। তার বয়স ৫৫ বছর।
তিনি সুলতান গ্রামের বাসিন্দা। পাশের গ্রাম মরিচখালী বাজারের একটি হোটেলে কাজ করতেন তিনি।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবারের বরাতে তিনি বলেন, ‘মতিউর দুটি বিয়ে করেছেন। সাত বছর আগে তার প্রথম স্ত্রী মারা যান। এই সংসারে তার চারটি সন্তান রয়েছে।
‘গত ২০ মে উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের গাংগাটিয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তিনি থাকতেন শ্বশুরবাড়িতে। শ্বশুরবাড়িতে থাকার সময় মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় দিকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করেন হোটেল মালিক হারেছ মিয়া। সেই ফোনে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তার ব্যবহৃত মোবাইল খোলা ছিল। অনেকবার ফোন করার পরও কেউ রিসিভ করেনি। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি।
‘শুক্রবার দুপুরে নরসুন্দা নদীর তীরে ডোবারপাড় কবরস্থানে তার খণ্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন স্থানীয়রা। পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে শনাক্ত করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।’
ওসি বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের কোমর থেকে নিচের অংশ পাওয়া যায়নি। মরদেহের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’