বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিরকুটে লেখা ‘ভালো থেকো, সেলিম’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৭ মে, ২০২২ ১৯:৪০

বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, উদ্ধারের পর সাদিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘আমি ফোন দিছিলাম তোমার সাথে থাকবো বলে। তা তুমি বুঝলে না। আমি তোমাকে বলতে চাইছিলাম যে, তোমার সন্তান আমার গর্ভে। তুমি বুঝলে না। তুমি ভালো থেকো। হয়তো বেঁচে থাকলে আমাকে মেনে নিতে না। কি করে তোমাকে ছাড়া অন্য কারো কাছে থাকবো। ভালো থেকো, সেলিম।’

এই চিরকুট লিখে যশোরের বাঘারপাড়ায় সাদিয়া খাতুন নামে ২০ বছর বয়সী এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার খাজুরা তেলীধান্যপুড়া গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সাদিয়া তেলীধান্যপুড়া গ্রামের শহর আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার ধলগ্রাম ইউনিয়নের আন্দোলবাড়িয়া গ্রামের সেলিম রেজার স্ত্রী। তার স্বজনদের অভিযোগ, গর্ভের সন্তানের পিতৃত্ব স্বামী অস্বীকার করায় সাদিয়া আত্মহত্যা করেছেন।

সাদিয়ার মা তাহেরা বেগম বলেন, ‘বছরখানেক আগে আন্দোলবাড়িয়া গ্রামের মঞ্জুর মোল্যার ছেলে সেলিমের সঙ্গে সাদিয়ার বিয়ে দিয়েছিলাম। পারিবারিকভাবে সাদিয়ার সঙ্গে বিয়ে হলেও এর আগে নিজের মামাতো বোনের সঙ্গে প্রেম ছিল সেলিমের। বিয়ের পরও ওই মেয়ের সঙ্গে তার পরকীয়া চলছিল। এটা মেনে নিতে পারেনি সাদিয়া। তাই তাকে প্রায়ই মারধর করত সেলিম। পারিবারিক কলহের জের ধরে ১৫ দিন আগে সাদিয়াকে সেলিম আমাদের বাড়িতে রেখে যায়।’

তাহেরা বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার নিজের গর্ভে সন্তান আসার খবরটি জানতে পারেন সাদিয়া। পরে ফোন করে এই খুশির খবরটি সেলিমকে জানালে তিনি ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। এতে কষ্ট ও অভিমান করে শুক্রবার ভোরে শয়নকক্ষের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সাদিয়া।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে সাদিয়ার স্বামী সেলিম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার মামাতো বোনের বিয়ে হয়েছে ২০০৮ সালে। তার সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্ক ছিল না। আর আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বাও হয়নি। তাই পিতৃপরিচয় দিতে আমার অস্বীকৃতি জানানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।’

এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দীন জানান, উদ্ধারের পর সাদিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবার মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর