দণ্ডিত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে আবারও কারাগারে নেয়ার বিষয়ে গভীরভাবে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহানুভূতি দেখিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বাড়িতে নেয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের যে বক্তব্য, তাতে বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর কথা গভীরভাবে ভাবা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু উন্নয়নযজ্ঞ নয়, বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। এটি বিএনপি ও ড. ইউনূসসহ ষড়যন্ত্রকারীদের গাত্রদাহ। এ নিয়ে এখন আর কেউ মুখ খোলেন না। সবাই স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছেন।
‘পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার প্রমাণ হয়ে গেছে। তারা নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ খুঁজছে। তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি দেশে আবারও অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টের সামনেও তাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা অরাজকতার চেষ্টা করছে। তারেক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাকে কীভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়টিও দেখছে সরকার।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) অনুষ্ঠানেও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী । তিনি মনে করেন, এটি জনগণের চাওয়া।
মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া উচিত। বিএনপি চেয়ারপারসনের শাস্তি স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।’
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে অক্টোবরে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। একই মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের সাজা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
বিএনপি আইনি লড়াইয়ে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যান মানবিক আবেদন। পরে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব হলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিতের আদেশ দেন সরকারপ্রধান। এরপর ছয় মাস করে আরও তিনবার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিএনপি নেত্রী এখন গুলশান-২-এ তার বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।