ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে এবার পি কে হালদারসহ তার অন্য সহযোগীদের ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ সিবিআই কোর্ট।
বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির মামলার মূল অভিযুক্ত পি কে হালদারকে গত ১৪ মে পশ্চিবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি।
গ্রেপ্তারের পর প্রথমে ৩ দিন, পরে আরও ১০ দিনসহ মোট ১৩ দিন ইডির তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার শুনানির জন্য আদালতে নেয়া হয় তাদের। ইডির আইনজীবী আদালতে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রেখে আরও জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানালে বিচারপতি ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পি কে হালদার জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ পাচারের মামলা শুরু হয়েছে।
১৩ দিনের তদন্তে ইডির তদন্তকারীদের হাতে বহু নথি ও তথ্য এসেছে বলে জানা গেছে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ জমি, বাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ হয়েছে। বাংলাদেশেও বিনিয়োগ হয়েছে। দু দেশের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে পি কে হালদার জালিয়াত চক্রের যুক্ত থাকার কথাও জানতে পেরেছেন ইডির তদন্তকারীরা।
ইডির এক কর্মকর্তা জানান, প্রথম দিকে পি কে হালদার তদন্তকারীদের সহযোগিতা করলেও পরে আর সহযোগিতা করছেন না।
১৪ মে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে বাংলাদেশ সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে পি কে হালদারসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি।
পরপর দুদিন ছুটি থাকায় ওই দিনই তাদের আদালতে নিলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের ইডি হেফাজতের আদেশ দেয় আদালত।
পি কে হালদারসহ জালিয়াত চক্রের অনেকেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে, অবৈধ পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, নিজের নাম প্রশান্ত কুমার হালদার থেকে শিব শংকর হালদারে পরিবর্তন করে যেভাবে আত্মগোপন করে থাকছিলেন, সে সব গুরুতর অপরাধের মামলা এখনো শুরু হয়নি। সে মামলার তদন্ত করবে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।