রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযানে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের ২৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মোশারেফ হোসেন, মাসুদ রায়হান, মো. রোকন, বিল্লাল হোসেন, আকতার হোসেন, মো. হারুন, সাহেব আলী, মো. জুয়েল, আরিফ চৌধুরি, মো. আল আমিন, মো. সুমন, মো. রানা, ইমান আলী, মো. ইকবাল, মো. সুমন, আব্দুর রহমান, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, আমিরুল ইসলাম, নিত্যানন্দ অধিকারী, আনোয়ার হোসেন, মো. সোহেল, মো. শরিফ, মোবারক, মো. আল আমিন ও সুরুজ মিয়া।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৪ হাজার ৯৯০ টাকা, ১৫টি মোবাইল ফোন, চারটি ক্ষুর এবং আটটি সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়।
র্যাব-৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, রাজধানীর পল্টন ও ওয়ারী এলাকায় কিছু সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান, লেগুনা স্ট্যান্ড এবং মালবাহী গাড়ি থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়সহ ছিনতাই করে আসছে।
‘কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে জীবননাশের হুমকি দিত। তাদের অত্যাচারে দোকানদারদের স্বাভাবিক ব্যবসা পরিচালনা করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। র্যাব এসব চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সবজি ও ফলের দোকান, ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান, লেগুনা স্ট্যান্ড এবং মালবাহী গাড়ি থেকে জোর করে দোকানপ্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করতেন।’
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।