বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় আগুনে ২১টি দোকান পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাজাপুর বাজারে শুক্রবার সকালে আগুন লাগে। পরে ব্যবসায়ী, স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।’
ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা জানান, আজ ভোরের দিকে হঠাৎ বাজারে আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তবে কোন দোকানে আগে আগুন লাগে তা জানা যায়নি। আগুনে বাজারের কাপড়, মোবাইল, পার্সসহ বিভিন্ন পণ্যের অন্তত ২১টি দোকান পুড়ে গেছে।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আরিফুল মোল্লা বলেন, ‘আগুনে আমার দোকানের ১০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। এখন কীভাবে দিন যাবে, কীভাবে দেনা পরিশোধ করব।’
ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার নিজের বিকাশের দোকান ও আত্মীয়ের মোবাইলের দোকান পুড়ে গেছে। তার দোকানের ১৫০টি মোবাইলসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে।
‘উপজেলা সদর ও বাজারের সংযোগ সড়কের সেতু ভেঙে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের আসতে দেরি হয়েছে। ফলে আগুনে বেশি দোকান পুড়ে গেছে।’
পার্সের দোকানদার হোসেন আলী বলেন, ‘দোকানের মালামাল পুড়ে আমার ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাশবাক্সের নগদ ২ লাখ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের দেড় কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।’
এদিকে আগুনের খবরে বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন এমপি আমিরুল আলম মিলন।
এমপি আমিরুল আলম বলেন, ‘আগুনে ব্যবসায়ীদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এসব ব্যবসায়ীর ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।’
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জের দুটি ইউনিটের প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে ব্যবসায়ীদের বক্তব্যে জেনেছি।
‘ধারণা করছি, এতে ব্যবসায়ীদের অন্তত ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া আশপাশের লোকজনের প্রায় ৫ কোটি টাকার মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়েছেন ফায়ার ফাইটাররা।’