দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি যুদ্ধে নামতে হবে বল মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশে গণতন্ত্র নাই দাবি করে তিনি বলেন, এই যুদ্ধের মাধ্যমেই দেশ গণতন্ত্র ফিরে পাবে বলে মত দেন তিনি।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আব্দুস সালাম হলে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপি আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। এই সরকারের পতনের আন্দোলন এখন আমরা শুরু করতে পারব।’
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন ফখরুল। বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) কেয়ারটেকার সরকার চেয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া কেয়ারটেকার সরকার দিয়ে সেটা সংবিধানে সংযোজন করেছিল। কিন্তু এরা (আওয়ামী লীগ) কত বড় প্রতারক-মুনাফিক, নিজের স্বার্থের জন্য কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছে।
‘এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি যুদ্ধে নামতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে পাব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ করছি কোনো দলের স্বার্থে নয়, এই দেশের স্বার্থে। আমরা যে বাংলাদেশকে গড়তে চেয়েছিলাম, সেই বাংলাদেশকে ফিরে পেতে চাই। তাই আসুন এই আলোচনা সভার মাধ্যমে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সকলে মিলে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আলোচনা করছি। আমরা আশাবাদী, বিশ্বাস করি অধিকাংশ দল দেশপ্রেমী, গণতন্ত্রকামী এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘যিনি সরকারপ্রধান, তিনি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা দেশের জনগণবিরোধী ব্যক্তি হিসেবে পরিণত হয়েছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। বলেন, ‘ন্যক্কারজনকভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও নেত্রীদের পিটিয়েছে। এটা দেখে সেই ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার কাহিনির কথা মনে পড়ে গেল। আসলে আওয়ামী লীগ জন্মের পর থেকে সন্ত্রাস করে এই দল তৈরি করেছে।
‘আপনারা অনেকেই জানেন আওয়ামী লীগ তার সভাপতি মওলানা ভাসানীকে তাদের এক সম্মেলনে পিটিয়ে সেখান থেকে বের করে দিয়েছিল। ওখান থেকে বের হয়ে তিনি অন্য দল গঠন করেন। ওই সন্ত্রাসীদের কাছে এই মহান নেতা টিকতে পারেননি।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।