বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজপথে আন্দোলনের সূচনা ছাত্রদলের: মোশাররফ

  •    
  • ২৭ মে, ২০২২ ১৩:৫০

শ্রীলঙ্কার মতো রাজপথ না দেখতে চাইলে সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেন, ‘জনগণের সমর্থন থাকলে কেউ গুণ্ডামিতে যায় না। কারণ আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই।’

দলীয় চেয়ারপারসনের হত্যার হুমকির প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে ছাত্রদল রাজপথে আন্দোলনের সূচনা করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এমন দাবি করেন।

ছাত্রদলের এই আন্দোলন সবাইকে এগিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

গত ১৮ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আগের করা একটি বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী ও তাদের দোসরদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে টুস করে ফেলে দেয়া উচিত।’

এই মন্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল গত মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। ছাত্রদলের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।

শ্রীলঙ্কার মতো রাজপথ না দেখতে চাইলে সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেন, ‘জনগণের সমর্থন থাকলে কেউ গুণ্ডামিতে যায় না। কারণ আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই।’

ক্ষমতাসীন সরকারকে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার পরামর্শ দেন বিএনপির এই নেতা।

ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। খুব শিগগির দায়ীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

বিশ্বজিত, আবরারদেরও ছাত্রলীগের ‘গুণ্ডারা’ হত্যা করেছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘যারা প্ররোচনা দিচ্ছে তারা বিনাভোটে নির্বাচিত সরকার। দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করা সরকার। তাদের কোনো কমিটমেন্ট নেই।’

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি করে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখন কোথায় ছিলেন, কোথায় ছিল সরকার, কোথায় ছিল অবৈধ প্রধানমন্ত্রী।’

শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয় বলে মনে করেন তিনি।

তিন শতাধিক ছাত্রদল কর্মীদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোথায় প্রশাসন, কোথায় ভাইস চ্যান্সেলর। কোথায় বুদ্ধিজীবীরা।’

সব ছাত্রদের হলে উঠিয়ে সহঅবস্থানের রাজনীতি চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিএনপি নেতা।

যদি বিশ্ববিদ্যলয়ে ছাত্রদলের জায়গা না হয় তাহলে প্রশাসনের জায়গা সারাদেশে হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিআওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ বলে মনে করেন তিনি। আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বল মত এই বিএনপি নেতার।

শেখ হাসিনাকে পদত্যাগের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ না করলে গণভবন থেকে জনগণ বের করে নিয়ে আসবে। ৯০ এর মতো ঢাকার মাটিতে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে।’

শুধু প্রতিবাদ নয় নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের প্রস্তুতি রাখতে হবে বলে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর