চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট বাজারে ডাকাত আখ্যা দিয়ে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
মিরসরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
তিনি বলেন, ‘র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
জোরারগঞ্জ থানার পরিদর্শক খাইরুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও আমরা কোনো এজাহার পাইনি। আমাদের কাছে আটকও নেই কেউ।’
কী ঘটেছিল
বুধবার মাগরিবের নামাজের পর চিহ্নিত দুই মাদক কারবারিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে র্যাব সদস্য শামীম কাউসার, সিপাহি মোখলেসুর রহমান ও সোর্স মো. পারভেজ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের প্রথমে বারৈয়ারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে। গুরুতর আহত দুজনকে রাতেই হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়।
হামলার বিষয়ে র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে আমাদের অভিযানের পরিকল্পনা ছিল। র্যাবের এই অভিযানের তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। মাদক ব্যবসায়ীরা জানত যে র্যাব সদস্যরা রেকি করতে আসবেন।
‘তারা আগে থেকেই হামলার পরিকল্পনা করে রেখেছিল, কারণ শুধু জনগণ পেটালে খালি হাতেই মারত। তাদের মাঝখান থেকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছি।’
তবে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।