ভারত থেকে সম্প্রতি বেশকিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের সে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। একই সঙ্গে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা যাতে বাহিরে আসতে না পারে সেদিকেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত নির্বাহী কমিটির সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এখন মাদক পাচার ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পগুলো। রক্তপাতের এসব খেলা বন্ধের জন্য সর্বোচ্চ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘এসব অপরাধ ঠেকাতে র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। এ ছাড়া এপিবিএনের তিনটি ব্যাটালিয়ন এখন সব ক্যাম্পের পূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রেখেছে।’
ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে যারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাম্পগুলোতে মাদকের ব্যবসা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করা হবে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে যেমন মাদকের কারবার চলে, তেমনি বাইরেও চলে। এসব কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্যাম্পগুলোর চারদিকে সীমানা প্রাচীর করা হয়েছে। যাতে কোনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে যেতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়টিও আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়।’
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন, কক্সবাজার ত্রাণ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজোয়ান হায়াত উপস্থিত ছিলেন।