টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অস্ত্রোপচার কক্ষে প্রসূতি ও গর্ভের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত কমিটি ওই ক্লিনিক সিলগালা করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (টিএইচও) নেতৃত্বে গঠিত কমিটি মা ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটাল নামের ওই প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে গিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই পদক্ষেপ নেন।
এই ক্লিনিকে বুধবার রাতে সি-সেকশন করার সময় চিকিৎসকের ভুলে প্রসূতি ও গর্ভের শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ তোলেন। মৃত নারীর স্বামী আতোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
টিএইচও সোবহান জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদন জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ যেন কোনো কার্যক্রম না চালাতে পারে, সে জন্য ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মৃতের স্বামীর দেয়া অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ।
২৫ বছরের ওই প্রসূতির নাম লাইলী বেগম। তার বাড়ি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামে।
তার স্বামীর অভিযোগ, লাইলীর প্রসববেদনা শুরু হলে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠাতে বলেন।
সেখানে থাকা ক্লিনিকের দালাল শামছু রোগীকে মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার এনামুল হক সোহেল ও চিকিৎসক আল মামুনকে অস্ত্রোপচারের জন্য ডেকে আনেন।
ক্লিনিকটির অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়ার পর টেবিলেই মারা যান লাইলী।
লাইলীর স্বামী আতোয়ার বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। দালাল শামছু কম টাকায় সিজার করে দেবার আশ্বাস দিলে সেখানে আমার স্ত্রীকে নেই। দেড় ঘণ্টা আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে রাখে। ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’তবে ভুঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা আল মামুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মা ক্লিনিকে আনার পর তার উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। অপারেশনের আগেই রোগী বমি করে মারা যান। এখানে ভুল চিকিৎসার মৃত্যুর অভিযোগ মিথ্যা।’