বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদাকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২৬ মে, ২০২২ ১৯:১১

‘খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর তাকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, সেটি নিয়েই এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন। এই মহানুভবতার মূল্য যারা দিতে জানে না, তাদের প্রতি এই মহানুভবতা কেন দেখাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত।’

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয়ার পক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি মনে করেন, এটি জনগণের চাওয়া।

মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের শাস্তি স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে অক্টোবরে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। একই মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাত বছরের সাজা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

বিএনপি আইনি লড়াইয়ে তাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর তার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যান মানবিক আবেদন। পরে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব হলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিতের আদেশ দেন সরকারপ্রধান। এরপর ছয় মাস করে আরও তিনবার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিএনপি নেত্রী এখন গুলশান-২-এ তার বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও দুই বছর তাকে কারাগারের বাইরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, সেটি নিয়েই এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন। এই মহানুভবতার মূল্য যারা দিতে জানে না, তাদের প্রতি এই মহানুভবতা কেন দেখাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো উচিত।’

আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু বানাতে পারবে না আর জোড়াতালি দিয়ে সেতু হলে কেউ যেন তাতে না ওঠে- এমন মন্তব্য করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বিএনপি নেত্রীর ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া ও তার দোসরদের পদ্মা সেতুতে নিয়ে নিয়ে গিয়ে টুস করে ফেলে দেয়া উচিত।

সরকারপ্রধানের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে বিএনপি বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়া তো প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা সেটির প্রমাণ।’

তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ মনে করে, তারা যেহেতু পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার সেটি করতে পারবে না বলে আস্ফালন করেছিল, সে জন্য তাদের সাঁতরে পদ্মা পার হওয়া উচিত, সেতুর ওপর দিয়ে নয়।’

প্রধানমন্ত্রী এ সেতু সবার জন্য নির্মাণ করেছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তবে যারা এর বিরোধিতা করেছিল তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীএর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় পতাকা এবং ডিআরইউ সভাপতি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সূচনা করেন। পায়রা ও বেলুন উড়ানো শেষে একটি মিছিলে যোগ দেন তিনি।

ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৭ বছরের পথ পরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে, রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়নি, যা অত্যন্ত বড় সাফল্য বলে আমি মনে করি। আশা করি আগামী ৫০ বছর পরেও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকবে।’

গত ১৩ বছরে দেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ১৩ বছর আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, এখন প্রায় ৩৮টি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে।

‘বেসরকারি রেডিও ছিল না, এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও, ১৮টির মতো কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০তে উন্নীত হয়েছে। অনলাইন গণমাধ্যম কত হাজার সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়, তবে আমাদের কাছে ৫ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য।’

সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় আপনাদের পাশে আছি, যখন মন্ত্রী ছিলাম না তখনও পাশে ছিলাম, এখন মন্ত্রী হিসেবে পাশে আছি, সব সময় তো কেউ মন্ত্রী থাকে না, তখনও আমি আপনাদের পাশে থাকব।’

এ বিভাগের আরো খবর