ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যকার সংঘর্ষ সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর ভাঙচুর করা হয়েছে আইনজীবীর গাড়ি। এ সময় এক ছাত্রদল কর্মী গুরুতর আহতও হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে ভাঙচুর করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটে দাঁড়িয়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকারের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদে দুপুরে হাইকোর্ট মাজার গেইট এলাকার আশপাশে জড়ো হয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বেলা ১২টার পর তারা মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী পিছু হটে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওই সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে ছাত্রদলকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে রাখা আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন তাৎক্ষণিক বৈঠকে বসে। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বজলুর রহমান, পুলিশের রমনা অঞ্চলের ডিসি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আগামী রোববার থেকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। গেটগুলোতে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আদালত অঙ্গনে যাতে কোনো বহিরাগত ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘এ দেশে বিচার চেয়ে লাভ নেই। সরকার যেটা চাইবে সেটার বিচার হবে, যেটা চাইবে না, সেটা হবে না। নির্বাচনের আগে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের যে আলামত, সেটি দেখা যাচ্ছে।’