রংপুরের কাউনিয়ায় এক গৃহবধূর করা ধর্ষণ মামলায় সাবেক এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধক মোজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামিকে আদালতে নেয়া হয়েছে। এখনও তোলা হয়নি।’
এর আগে মহানগরীর কেরানিপাড়ার কেরামতিয়া মসজিদসংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে আসামি মাজেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বাড়ি বসুনিয়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নে। হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, ‘বছর চারেক আগে কাউনিয়ার হারাগাছ ইউনিয়নের ওই গৃহবধূর দুই ছেলেকে প্রাইভেট পড়াতেন মাজেদুল ইসলাম। কোনো একদিন টিনের বেড়া দেয়া গোসলখানায় ওই গৃহবধূর গোসলের দৃশ্য গোপনে ধারণ করেন মাজেদুল।
‘পরে সেই ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত বছরের ২৯ অক্টোবর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে ফের তাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত মাজেদুল।’
ওসি আরও বলেন, ‘কোনো উপায় না পেয়ে ওই গৃহবধূ ছেলেদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় চলে যাওয়ার পরও তাকে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলেন অভিযুক্ত। রাজি না হওয়ায় একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১২ মার্চ ভুক্তভোগীর দুই ছেলের মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠান মাজেদুল।
‘এ ঘটনায় ওই বছরের ১১ এপ্রিল মাজেদুলকে অভিযুক্ত করে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।’
হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবরে হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মাজেদুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা মাজেদুলের ব্যক্তিগত চরিত্রের বিষয়। এর দায় ছাত্রলীগ নেবে না।’
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ বলেন, ‘মামলার পর আসামি মাজেদুল পালিয়ে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’