বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যানের ‘ব্যক্তিগত কার্যালয়ে’ কিশোরী ‘ধর্ষণ’: আসামি গ্রেপ্তার

  •    
  • ২৬ মে, ২০২২ ১৫:৫৪

নয়াগাঁও বাজারে ৫ মের ওই ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদারসহ স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি সমাধানের আশ্বাস দেন বলে জানান বাদী। ফলে মেয়েটির দরিদ্র পরিবারটি এতদিন তা প্রকাশ করেনি। কিশোরীর বাবা মামলা করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ‘ব্যক্তিগত কার্যালয়ে’ এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

বুধবার রাতে করা মামলায় পুলিশ আসামি লিটন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে।

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

ওই কিশোরীর বাড়ি নগর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। আসামি লিটনের বাড়ি সুনামগঞ্জের জামালপুর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। লিটনের বয়স প্রায় ৪০। তিনি বিবাহিত।

নয়াগাঁও বাজারে ৫ মের ওই ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদারসহ স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি সমাধানের আশ্বাস দেন বলে জানান বাদী। ফলে মেয়েটির দরিদ্র পরিবারটি এতদিন তা প্রকাশ করেনি। কিশোরীর বাবা মামলা করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

কিশোরীর বাবা জানান, লিটন নগর ইউনিয়নে তার শ্বশুরবাড়িতে থেকে ধান কাটার কাজ করতেন। ধান কাটতে গিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে লিটনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সম্পর্ক গড়ার সময় লিটন আসল নাম গোপন করে হৃদয় নামে পরিচয় দেন এবং জানান তার বাড়ি নগর ইউনিয়নের আদমপুরে। ৫ মে রাতে লিটন কিশোরীকে নয়াগাঁও বাজারে ওই চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।

এ ঘটনার পর কিশোরীর অভিভাবকরা চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদারের সহায়তা চাইলে তিনি ঘটনাটি মীমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পরিবারটি ঘটনাটি গোপন রেখে অপেক্ষা করতে থাকে। তবে ২০ দিনেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় বুধবার রাতে মেয়েটির বাবা খালিয়াজুরী থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ রাতেই লিটনকে বল্লভপুর এলাকার একটি হাওর থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘরটি আমার, কিন্তু ব্যক্তিগত কার্যালয় নয়। আমার কার্যালয় আদমপুর বাজারে। আর এ ঘরটি উন্মুক্ত থাকে। আগে বিট পুুলিশিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হতো।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আইনের আশ্রয় নিতে বলেছিলাম। কিন্তু মেয়েটির পরিবার মীমাংসার চেষ্টায় দেরি করেছে।’তিনি দাবি করেন, লিটন তার কোনো আত্মীয় নন।খালিয়াজুরী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের প্রচলিত ধারায় মামলা নিয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর