বাগেরহাটের কালিরচরে অবমুক্ত করা হয়েছে মহাবিপন্ন প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’সহ ১২টি কচ্ছপ।
পূর্ব সুন্দরবনের কালিরচরের পার্শ্ববর্তী ছেদনখালী খালের চরে বুধবার বিকেলে এ কচ্ছপগুলো অবমুক্ত করা হয়।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবিরের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে ১০টি ও খুলনা-পটুয়াখালী থেকে উদ্ধার করা ২টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপসহ মোট ১২টি কচ্ছপ সুন্দরবনের ছেদনখালী খালের চরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন সুন্দরবনের এ ধরনের ঈষৎ লবণযুক্ত পানির কচ্ছপ ছিল। বর্তমানে এ ধরনের কচ্ছপ আর দেখা যায় না। সুন্দরবনের কোথাও এ ধরনের কচ্ছপ আছে কি না, তা খুঁজতে ও কচ্ছপের চলাফেরা জানার জন্য এ ১২টি কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে।’
কচ্ছপ অবমুক্ত করার সময় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার, অষ্টিয়ার ভিয়েনা জু’এর কিউরেটর টনিসহ বন বিভাগের আরও কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে সুন্দরবনের করমজলে কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র শুরু হয়। এর মধ্যে ২০১৭ সালে দুইটি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি কচ্ছপ সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়। করোনা মহামারির জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে সুন্দরবনে কোনো কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশসহ ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়ার কিছু অংশে দেখা মেলে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইউসিএন) ২০০৩ সালে প্রজাতিটিকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করে।