জনপ্রশাসনকে শক্তিশালী করা ও এর সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনোভেশন।
এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট।
যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় সময় বুধবার এই সমঝোতা স্মারকটি সই হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং।
এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টারের পক্ষে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ এলম্যানডর্ফ সই করেন।
এ সময় অন্যাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক ড. শামীমা নাসরিন ও উপপরিচালক আরিফুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরেন তার মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্ৰুতির কথাও উঠে আসে তার বক্তব্যে।
তার আশা, অ্যাশ সেন্টারের সহযোগিতা বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর কথা উল্লেখ করে দুই দেশের বিরাজমান সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের এই সহযোগিতা শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত ও গভীর হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার হওয়া অ্যাশ সেন্টারের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলে জানান অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ এলম্যানডর্ফ।
এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক অর্জন এবং এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশের সক্রিয়, বাস্তববাদী নীতি ও কৌশলের পাশাপাশি দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন ডগলাস।
এই সমঝোতার মধ্য দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পাঠ্যক্রমের পুনর্মূল্যায়ন এবং জনপ্রশাসন ক্ষেত্র পর্যালোচনা, নীতিনির্ধারকদের প্রশিক্ষণ ও যৌথ গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে গতিশীল জনসেবা নিশ্চিত করতে এই সমঝোতা একটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।